সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্নানের বালতি নিয়ে বচসা! ওড়িশার রাজধানী ভুবনেশ্বরে নাবালক পড়ুয়াকে খুন! গ্রেপ্তার তার তিন নাবালক বন্ধু। গ্রেপ্তার হয়েছেন স্কুলের দুই শিক্ষক-সহ আটকর্মীও। তাদের হেফাজতে নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ১১ ডিসেম্বর ভুবনেশ্বরের আবাসিক স্কুল কলিঙ্গ ইনস্টিটিউট অফ সোশাল সায়েন্স-এ রহস্যজনক ভাবে মৃত্যু হয় নবম শ্রেণির পড়ুয়ার। পরে জানা যায়, তাঁকে খুন করা হয়েছে। তদন্তকারীদের অনুমান, স্নানের বালতি নিয়ে বচসার জেরে নাবালককে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। তারপর তথ্য প্রমাণ লোপাটেরও চেষ্টা করা হয়। জানা গিয়েছে, ১৪ বছরের নাবালক তার স্নানের বালতি অভিযুক্ত সহপাঠীকে দিতে চায়নি। বচসা বাঁধে তাদের। তারপরই পড়ুয়াকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে বলে।
তদন্তকারীরা আরও জানিয়ছেন, ১১ ডিসেম্বর মৃত পড়ুয়ার পরিবারকে জানানো হয় সে গুরুতর অসুস্থ। মৃতের বাবা-মা ঘটনাস্থলে পৌঁছলে তাঁদের বলা হয় সে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সেখানে গেলে তাঁদের জানানো হয়, তাঁদের ছেলে মারা গিয়েছে। দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়। প্রাথমিক রিপোর্টে উঠে আসে পড়ুয়ার গলায় দাগ রয়েছে। অনুমান তাকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। এরপরই তদন্ত শুরু করে পুলিশ। স্কুলের কর্মচারী ও পড়ুয়াদের জিজ্ঞাসাবাদ করে একাধিক অসঙ্গতি উঠে আসে। তারপরই তিন নাবালক পড়ুয়া ও শিক্ষক-সহ ৮ কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ভুবনেশ্বরের পুলিশ কমিশনার এস দেব দত্ত বলেন, "তিন নাবালক পড়ুয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ১০৬(১) বিএনএস এবং নাবালক বিচার আইন, ২০১৫ এর ধারা ৭৫ এর অধীনে মামলা দায়ে করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, স্কুলের শিক্ষক-সহ কয়েকজন কর্মীরা ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের ঘটনা কাউকে না জানানোর হুমকি দিয়েছিল। পাশাপাশি তাঁরা তথ্যপ্রমাণ লোপাটেরও চেষ্টা করেছিলেন। এই অভিযোগেই স্কুলের এক অতিরিক্ত সিইও, দুই শিক্ষক-সহ আট জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ভুবনেশ্বরের কলিঙ্গ শিল্প-প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি শাখা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কলিঙ্গ ইনস্টিটিউট অফ সোশাল সায়েন্স। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে আগেও পড়ুয়া মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছিল। এবার সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি শাখা প্রতিষ্ঠানে আদিবাসী পড়ুয়া খুনের অভিযোগ উঠল।
