সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর : শিল্পশহর দুর্গাপুরের মূল সমস্যাই হচ্ছে জঞ্জাল৷ সেই জঞ্জালকে প্রক্রিয়াকরণ করে তা থেকে উপজাত দ্রব্য তৈরির প্রকল্পও থমকে গিয়েছে৷ তাই দৈনিক ১২ টন বর্জ্য এখন দুর্গাপুর নগর নিগমের মাথাব্যথার কারণ৷ সেই সমস্যা মেটাতে এগিয়ে এলেন কেন্দ্রীয় গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্ট্রাল মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা৷ তাঁদের তৈরি যন্ত্রে এই বর্জ্যের প্রক্রিয়াকরণ করে তৈরি করা যাবে বায়োগ্যাস৷ রান্নার কাজের পাশাপাশি শিল্পক্ষেত্রেও এই গ্যাসকে ব্যবহার করা যাবে৷ পাশাপাশি বিদ্যুৎ তৈরিতেও বিকল্প জ্বালানি হিসাবে ব্যবহার করা যাবে এই গ্যাস৷ তাই ইতিমধ্যেই এই ‘প্লাজমা গ্যাসিফিকেশন প্ল্যাণ্ট’ নিয়ে উৎসাহ দেখিয়েছে দুর্গাপুর নগর নিগমও৷ এই যন্ত্রের অন্যতম আবিষ্কর্তা সিএমইআরআই-র গবেষক অমিত গঙ্গোপাধ্যায়ের দাবি, ২৫ কেজি বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ করলে প্রায় পাঁচ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ তৈরি হবে৷ অমিতবাবুর নেতৃত্বে এক গবেষকদল এই ‘প্লাজমা গ্যাসিফিকেশন প্ল্যাণ্ট’ তৈরি করেছেন৷
[জানেন, নগদহীন লেনদেন করায় কত টাকা পুরস্কার দিল কেন্দ্র?]
এই প্ল্যাণ্টের জ্বালানি হিলিয়াম, অ্যারগন-সহ বিশেষ ধরনের স্বল্প খরচের গ্যাস৷ যেহেতু গ্যাস জ্বালানি হিসাবে ব্যবহার করা হয়, তাই ধোঁয়া নেই, দূষণও নেই৷ প্লাস্টিকের মতো পরিবেশের পক্ষে ভয়াবহ বস্তুকে পুড়িয়েও বায়োগ্যাসে রূপান্তরিত করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন গবেষকরা৷ তার উপর এই যন্ত্রটি থেকে বায়োগ্যাস তৈরির পর পড়ে থাকা কয়লা জল বিশুদ্ধ করার ক্ষেত্রে অথবা রাস্তা তৈরির ক্ষেত্রেও কাজে লাগবে। বিটুমিনের সঙ্গে তা মিশিয়ে রাস্তা আরও পোক্ত করা যেতে পারে৷ তবে উপজাত দ্রব্যের ব্যবহার নিয়ে আরও গবেষণা চলছে বলে জানান গবেষক অমিত গঙ্গোপাধ্যায়৷
ইতিমধ্যেই যন্ত্রটি দেখে এসেছেন নগর নিগমের কমিশনার কস্তুরী সেনগুপ্ত৷ তিনি বলেন, “আমরা রাজ্য সরকারকে পরিকল্পনা পাঠিয়েছি৷ অনুমোদন পেলেই যন্ত্রটিকে কাজে লাগানো হবে৷”
[সীমান্তে অনুপ্রবেশের চেষ্টা বানচাল করল সেনা, নিকেশ ৪ জঙ্গি]
The post বর্জ্য থেকে বায়োগ্যাস তৈরি করছেন CMERI-এর গবেষকরা appeared first on Sangbad Pratidin.