সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আতঙ্কের রেলযাত্রা যেন শেষ হচ্ছে না। একের পর এক ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ার খবর আসাও থামছে না। এবার নয়াদিল্লি রেল স্টেশনের কাছে বেলাইন জম্মু তাওয়াই-নয়াদিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেস। বৃহস্পতিবার এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বলে সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে। জানা গিয়েছে, রাজধানী এক্সপ্রেসের একটি কোচ লাইনচ্যুত হয়ে পড়ে। তবে এদিনের দুর্ঘটনায় কোনও যাত্রী হতাহত হননি বলেই জানিয়েছেন নর্দার্ন রেলের মুখপাত্র।
[ফের বড়সড় রেল দুর্ঘটনা উত্তরপ্রদেশে, বেলাইন শক্তিপুঞ্জ এক্সপ্রেস]
এদিন ভোর ৬টা নাগাদ এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। সেই সময় রাজধানী এক্সপ্রেস প্ল্যাটফর্মে ঢুকছিল, জানিয়েছেন রেলের মুখপাত্র। তবে কীভাবে রাজধানী এক্সপ্রেসের মতো ট্রেনও লাইনচ্যুত হয়, তাও আবার নয়াদিল্লির মতো হাই প্রোফাইল স্টেশনে, সে বিষয়ে কোনও সদুত্তর দিতে পারেনি রেল। এই ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কারও গাফিলতির জন্য নাকি যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বেলাইন হল ট্রেনটি, সেটাও খতিয়ে দেখা হবে বলে রেল সূত্রে খবর। এই নিয়ে চলতি মাসে আরও একবার বড়সড় প্রশ্নের মুখে পড়ে গেল রেলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। বিশেষত, যে সময় ভারতে বুলেট ট্রেন প্রকল্পের শিলান্যাস হতে চলেছে, সেই সময় সাধারণ যাত্রীদের ন্যূনতম নিরাপদ যাত্রার গ্যারান্টিও কেন রেল দিতে পারছে না, সে বিষয়ে উঠছে প্রশ্ন।
[এবার দিল্লিতে বেলাইন রাজধানী এক্সপ্রেসের ইঞ্জিন, উদ্বিগ্ন রেল আধিকারিকরা]
এই নিয়ে গত এক মাসে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অন্তত তিনটি রেল দুর্ঘটনা ঘটে গেল। গত ৭ সেপ্টেম্বর লাইনচ্যুত হয় হাওড়া-জব্বলপুর শক্তিপুঞ্জ এক্সপ্রেস। হাওড়া থেকে জব্বলপুর যাওয়ার পথে শোনভদ্রের কাছে দুর্ঘটনাটি ঘটে। ট্রেনটির ৭টি বগি লাইনচ্যুত হলে এক যাত্রী আহত হন। ১৯ আগস্ট হরিদ্বার থেকে পুরী যাওয়ার পথে উত্তরপ্রদেশের মুজফফরনগরের কাছে লাইনচ্যুত হয় কলিঙ্গ উৎকল এক্সপ্রেস। ট্রেনটির ১৪টি বগি বেলাইন হয়ে অন্তত ২৩ জন যাত্রীর মৃত্যু হয়। আহত হন ১০০-রও বেশি মানুষ। ওই ঘটনার চারদিন পর ২৩ আগস্ট আজমগড় থেকে দিল্লি যাওয়ার পথে উত্তরপ্রদেশের অওরাইয়ার কাছে কৈফিয়ত এক্সপ্রেসের সঙ্গে ক্রসিং-এর কাছে একটি ডাম্পারের ধাক্কায় ট্রেনটির ১২টি বগি লাইনচ্যুত হয়, আহত হন ৪৭ জন।
The post এবার লাইনচ্যুত রাজধানী এক্সপ্রেস, আতঙ্ক নয়াদিল্লি স্টেশনে appeared first on Sangbad Pratidin.