সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: আরও একবার ‘সেন্সরশিপ’-এর অভিযোগে কেন্দ্রকে বিদ্ধ করল কংগ্রেস (Congress)। এবার অনাস্থা প্রস্তাবে রাহুল গান্ধীর বক্তৃতার সময় তাঁকে সংসদ টিভির পর্দায় না দেখানোর অভিযোগ আনল দেশের প্রাচীনতম রাজনৈতিক দল। কেন্দ্র সরকারকে স্বৈরাচারী আখ্যা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী রাহুলকে ভয় পেয়ে গিয়েছেন বলে দাবি করল কংগ্রেস।
এর আগেও সংসদের অধিবেশন চলাকালীন বিরোধীদের কম সময় সম্প্রচার করা। বেশিরভাগ সময়ই সম্প্রচার না করা। এমনকী অধিবেশন চলাকালীন লাগাতার সরকারি বিজ্ঞাপন চালানোর অভিযোগ উঠেছে। রাজ্যসভা ও লোকসভায় বিরোধী দলের সাংসদদের প্রতিবাদের ছবি না দেখানো। মোদি জমানায় বারেবারে এই ধরনের অভিযোগ তুলেছেন বিরোধীরা। এবার তো যথারীতি অঙ্ক কষে বলা হল, মোট কত সময়ের মধ্যে কত সময় দেখানো হচ্ছে তাদের।
[আরও পড়ুন: সেমিস্টার পদ্ধতিতে উচ্চমাধ্যমিক! পরীক্ষা হতে পারে OMR শিটে, নয়া ভাবনা সংসদের]
বুধবার দুপুর ১২ টা বেজে ৯ মিনিটে বক্তব্য শুরু করেন রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। থামেন ১২ টা ৪৬ নাগাদ। মোট প্রায় ৩৭ মিনিট ভাষণ দেওয়ার সময় টিভির পর্দায় মাত্র ১৪ মিনিট ৩৭ সেকেন্ড দেখানো হয়েছে রাহুল গান্ধীকে। আবার তাঁর মোট ভাষণের মধ্যে ১৫ মিনিট ৪২ সেকেন্ড উল্লেখ করেছিলেন মণিপুরের নানা ঘটনা। তার মধ্যে মাত্র ৪ মিনিট সম্প্রচার করা হয়েছে কংগ্রেস সাংসদের ভিজুয়াল। বাকি গোটা সময়ের বেশিরভাগ ক্যামেরা তার করে ছিল অধ্যক্ষ ওম বিড়লার দিকে। কিছু কিছু সময় ট্রেজারি বেঞ্চের দিকে।
[আরও পড়ুন: ‘শরীরের কথা ভেবে পাকাপাকিভাবে ধূমপান ছাড়ুন’, বুদ্ধবাবুকে অনুরোধ কুণালের]
এই ঘটনাগুলিকে উল্লেখ করেই স্বৈরতন্ত্রের অভিযোগ তুলল কংগ্রেস। তাদের বক্তব্য, স্বৈরাচারীরা আদতে ভীরু হয়। বিজেপিও রাহুল গান্ধীকে ভয় পায়। তাই তাঁর বক্তব্যের সময়ও টিভির পর্দায় দেখানো হচ্ছিল অধ্যক্ষ ওম বিড়লাকে। রাজ্যসভা সাংসদ তথা দলের প্রধান মুখপাত্র জয়রাম রমেশ (Jairam Ramesh) বলেন, “অন্যায় বহিস্কার থেকে মুক্তি পেয়ে রাহুল গান্ধীর প্রত্যাবর্তনে কেন্দ্র কতখানি ভীত সন্ত্রস্ত, তা প্রমাণ হয়ে গেল। মোট ভাষণের ৪০ শতাংশেরও কম স্ক্রিন টাইম দেওয়া হল ওঁকে। প্রধানমন্ত্রী মোদি (Narendra Modi) কেন যে এত ভয় পান কে জানে?”