সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লোকসভার আগেই ফ্রিজ হয়ে গেল কংগ্রেসের (Congress) ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট! চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করলেন দলের কোষাধ্যক্ষ অজয় মাকেন। সেই সঙ্গে যুব কংগ্রেসের যাবতীয় অ্যাকাউন্টও ফ্রিজ করা হয়েছে বলে তাঁর দাবি। শুধু ফ্রিজ করাই নয়, দলের ২১০ কোটি টাকার কর বকেয়া রয়েছে বলেও জানিয়েছে আয়কর বিভাগ। তবে অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার এক ঘণ্টার মধ্যেই ফের লেনদেন শুরু হল কংগ্রেসের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট।
শুক্রবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন মাকেন (Ajay Maken)। জানা গিয়েছে, ক্রাউডফান্ডিং করে যে অর্থ জমা পড়েছিল দলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে, সেটা ব্যবহার করা যাচ্ছে না। নির্দিষ্ট কারণ ছাড়াই ফ্রিজ করে দেওয়া হয়েছে যুব কংগ্রেসের সমস্ত অ্যাকাউন্টও। লোকসভা নির্বাচনের আগেই কার্যত অচল করে দেওয়া হয়েছে কংগ্রেসের সমস্ত আর্থিক কার্যকলাপ।
[আরও পড়ুন: বিহারে ঐক্যবদ্ধ ‘ইন্ডিয়া’, ন্যায় যাত্রায় রাহুলের চালকের ভূমিকায় তেজস্বী]
মাকেনের দাবি, “আমরা গতকাল জানতে পারি যে চেকগুলো দলের তরফে ইস্যু করা হয়েছে সেগুলো ব্যাঙ্কে কাজ করছে না। পরে জানতে পারি, কংগ্রেসের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হয়েছে। রেহাই পায়নি যুব কংগ্রেসের অ্যাকাউন্টগুলোও। তার উপর আয়কর দপ্তরের থেকে জানানো হয়েছে, ২০১৯ সাল থেকে বিশাল পরিমাণে কর বকেয়া রয়েছে। কংগ্রেস ও যুব কংগ্রেস মিলিয়ে বাকি রয়েছে মোট ২১০ কোটি টাকার কর।
ফলে একেবারে দেউলিয়ার দশা হয়েছে কংগ্রেসের। মাকেন জানান, “একটা টাকাও খরচ করার মতো অবস্থা নেই। ইলেকট্রিক বিল, দলীয় কর্মীদের বেতন- কিছুই দেওয়া যাচ্ছে না। শুধু ন্যায় যাত্রা নয়, দলের সমস্ত কাজই বন্ধ হয়ে যাবে।” মাকেনের অভিযোগ, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণেই দলের প্রতি এমন আচরণ করছে কেন্দ্র। তিনি বলেন, নির্বাচনী বন্ড নয়, এই টাকা এসেছিল ক্রাউডফান্ডিং থেকে। তাও নির্বাচনের ঠিক আগেই এভাবে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দেওয়াটা একেবারেই রাজনৈতিক কারণ।
তবে কেন্দ্রকে একহাত নেওয়ার পরেই নড়েচড়ে বসে ট্যাক্স ট্রাইবুন্যাল। কংগ্রেসের দাবি, আয়কর ট্রাইব্যুনালেই মিলেছে সুরাহা। তার পরই অ্যাকাউন্ট চালু করতে বাধ্য হয়েছে আয়কর বিভাগ। এক ঘণ্টার মধ্যেই লেনদেন শুরু হল কংগ্রেসের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে।