সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বৃহস্পতিবারই তাঁকে ১ বছরের সশ্রম কারাবাসের রায় শুনিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। তারপরই শুক্রবার অর্থাৎ আজ আত্মসমর্পণ করলেন নভজ্যোৎ সিং সিধু (Navjot Singh Sidhu)।এর আগে কিন্তু শীর্ষ আদালতের কাছে আত্মসমর্পণের জন্য আরও সময় চেয়েছিলেন পাঞ্জাবের (Punjab) প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি।
এদিন সিধুর সময় চাইবার আবেদনের বিরোধিতা করে সরকারপক্ষের আইনজীবীদের তরফে বলা হয়, ”৩৪ বছরের অর্থ এই নয় যে, অপরাধ মৃত। এবার যখন রায়দান হয়ে গিয়েছে, ওঁরা আরও তিন-চার সপ্তাহ সময় চাইছেন!” একথায় সিধুর আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি বলেন, ”আমি তো জানিয়েছি উনি আত্মসমর্পণ করবেন। আবেদনটি বিবেচনা করা হবে কিনা কিনা সেটাই বিচার্য বিষয়।” তখনই বিচারপতি খানউইলকার বলেন, ”আপনি একটা সাধারণ আবেদনপত্র জমা দিন। আমরা দেখছি। আপনি জমা দিন এবং প্রধান বিচারপতির এজলাসেও বিষয়টি জানান।”
[আরও পড়ুন: চিনা সংস্থাকে বন্দে ভারত ট্রেনের চাকা তৈরির বরাত, মোদির দ্বিচারিতা নিয়ে সরব কংগ্রেস]
ঠিক কী অভিযোগ সিধুর বিরুদ্ধে? ১৯৮৮ সালের ২৭ ডিসেম্বর গুরনাম সিং নামে এক ব্যক্তির মাথায় আঘাত করেছিলেন তিনি। এরপরই মারা যান গুরনাম। এরপরই সিধুর বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু হয়। অবশেষে সেই মামলার সাজা পেলেন প্রাক্তন ক্রিকেটার ও পাঞ্জাবের প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি। তাঁকে এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের রায় শোনানো হয়েছে।
জানা যায়, ঘটনার দিন রাস্তার মাঝ বরাবর নিজের জিপসি গাড়ি দাঁড় করিয়ে রেখেছিলেন সিধু। সেই সময় গুরনাম ও তাঁর সঙ্গীরা ওই পথ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তাঁরা সিধুকে অনুরোধ করেন, গাড়িটি সরিয়ে রাখতে। সিধু রাজি না হওয়ায় সৃষ্টি হয় বাদানুবাদ। এরপরই সিধু সরাসরি আঘাত করেন ওই ব্যক্তির মাথায়। সঙ্গে সঙ্গে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।
[আরও পড়ুন: দেশে ফের একদিনে করোনা আক্রান্ত দু’হাজারের বেশি, কাঁপুনি ধরাচ্ছে উত্তর কোরিয়ার পরিসংখ্যান]
২০০৬ সালে তিন বছরের কারাবাসের নির্দেশ দেওয়া হয় সিধুকে। সেই সঙ্গে এক লক্ষ টাকা জরিমানাও করা হয়েছিল তাঁকে। সিধু সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। ২০১৮ সালে সিধুর শাস্তি কমিয়ে তাঁকে ১ হাজার টাকা জরিমানার কথা বলেছিল সুপ্রিম কোর্ট। তবে মৃতের পরিবার রিভিউ পিটিশন দাখিল করায় স্থগিত রাখা হয় রায়দান। সেই সঙ্গে রায় পুনর্বিবেচনা করে শীর্ষ আদালত। আর তারপরই বৃহস্পতিবার সিধুকে ১ বছরের কারাবাসের সাজা শোনানো হয়।