সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দল তাঁকে গুরুত্ব দেয় না। একদিন আগেই অনাস্থা প্রস্তাবের জবাবি ভাষণে কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা অধীর চৌধুরীকে (Adhir Ranjan Chowdhury) খোঁচা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। খোঁচা দিয়েছিলেন কংগ্রেসের বক্তা তালিকার শুরুতে অধীরের না থাকা নিয়েও। ঠিক তার পরদিনই দলে অধীরের গুরুত্ব বুঝিয়ে দিতে আসরে নামলেন খোদ কংগ্রেস সংসদীয় দলের নেত্রী সোনিয়া গান্ধী।
আসলে বৃহস্পতিবার ‘অসংসদীয় আচরণে’র অভিযোগে অধীরকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সাসপেন্ড করেছেন স্পিকার। অধীরের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের সময় বাধাদান করেছেন। এবং তাঁকে ‘নীরব মোদি’র (Narendra Modi) সঙ্গে তুলনা করেছেন। এমনকী নিজের মন্তব্যের জন্য ক্ষমাও চাননি। কংগ্রেস মনে করছে, অধীরকে যেভাবে সাসপেন্ড করা হয়েছে সেটা অনৈতিক। ইতিমধ্যেই সাসপেনশন প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে সংসদের সচিবালয়ে চিঠি দিয়েছে কংগ্রেস।
[আরও পড়ুন: ‘JU হস্টেল নিয়ে রোমান্টিসিজম ছিল’, স্বপ্নদীপের মৃত্যুর পর বিস্ফোরক আরেক ছাত্র]
এদিন সকালে অধীরের সাসপেনশন নিয়ে রণকৌশল ঠিক করতে বৈঠকে বসেন খোদ সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi)। কংগ্রেসের সব সাংসদকে ডাকা হয়। পরে লোকসভার অধিবেশন শুরু হতেই সাসপেনশনের প্রতিবাদে হট্টগোল শুরু করেন কংগ্রেস সাংসদরা। অন্য বিরোধী দলের সাংসদরাও সেই বিক্ষোভে শামিল হন। এমনকী রাজ্যসভায় খোদ কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে বহরমপুরের সাংসদের ‘অনৈতিক’ সাসপেনশন নিয়ে সরব হন। এর আগে ইন্ডিয়া জোটের সাংসদরা সংসদের বাইরেও বিক্ষোভ দেখিয়েছেন।
[আরও পড়ুন: ‘নিখোঁজ’ রোগীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন]
আসলে অধীরের সাসপেনশন অনির্দিষ্টকালের। সেটা যদি শুক্রবার প্রত্যাহার করা না হয়, তাহলে শীতকালীন অধিবেশনেও সাসপেনশন চলবে। সেটা কংগ্রেস চাইছে না। একই সঙ্গে গতকাল মোদি তাঁকে যে ‘গুরুত্বহীন’ বলে খোঁচা দিয়েছিলেন, কৌশলে সেটারও জবাব দিলেন সোনিয়া। বুঝিয়ে দিলেন, দলের লোকসভার দলনেতা এতটা গুরুত্বপূর্ণ যে গোটা দল তাঁর সাসপেনশনের প্রতিবাদে আসরে নেমে গিয়েছে।