সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইভিএম ইস্যুতে ইন্ডিয়া জোটের অন্দরে ফাটলের ইঙ্গিত। ইভিএমের সমর্থনে জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লার মন্তব্যের পালটা এবার মুখ খুলল কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর সহযোগীর এমন আচরণে হাত শিবির যে একেবারেই সন্তুষ্ট নয়, তা স্পষ্ট করা হয়েছে এদিন।
বিতর্কের সূত্রপাত ওমর আবদুল্লার এক বয়ানকে কেন্দ্র করে। সম্পতি এক সাক্ষাৎকারে ইভিএম ইস্যুতে আবদুল্লা বলেন, "সংসদে যখন কংগ্রেসের শতাধিক সদস্য এই ইভিএমের মাধ্যমে জয়ী হয়ে আসছেন তখন আপনারা সেই জয়কে মান্যতা দিচ্ছেন। তাহলে মাত্র কয়েক মাসের ব্যবধানে কেন পালটি খেয়ে বলছেন এই ইভিএম আপনাদের পছন্দ নয়। সেটাও তখন যখন ভোটের ফল আপনাদের পছন্দ হচ্ছে না। ইভিএমকে এভাবে বলির পাঠা বানানো উচিত নয়। কংগ্রেসের উচিত নির্বাচনের ফলাফল মেনে নেওয়া এবং কান্নাকাটি বন্ধ করা। ভোটে জিতলে ইভিএম ভালো আর হারলে খারাপ, এটা ঠিক নয়।''
ওমর আবদুল্লার মন্তব্যের পালটা কংগ্রেস সাংসদ মণিকম ঠাকুর বলেন, "সমাজবাদী পার্টি, এনসিপি ও শিব সেনা (উদ্ধব) সকলেই ইভিএমের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। এর পর ওমর আবদুল্লার মতো সিনিয়র নেতা যে মন্তব্য করছেন তা ঠিক নয়। দয়া করে আপনার তথ্য যাচাই করুন। কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটি ইভিএম নিয়ে নির্বাচন কমিশনে প্রস্তাব পেশ করেছে। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর আমাদের সহযোগীদের আচরণ এমন কেন?"
উল্লেখ্য, কংগ্রেস-সহ ইন্ডিয়া জোটের বহু শরিক দল ইভিএম নিয়ে বার বার প্রশ্ন তুলেছে। সম্প্রতি হরিয়ানা ও মহারাষ্ট্রে নির্বাচনে হারের পর সরাসরি ইভিএমকে দায়ী করেছে কংগ্রেস। এমনকি কমিশনে এই ইস্যুতে অভিযোগও জানানো হয় হাত শিবিরের তরফে। তবে প্রতিবারের মতো কংগ্রেসের দাবি খারিজ করে কমিশন। এদিকে ইভিএম নিয়ে ইন্ডিয়া জোটের বেশ কিছু শরিক দল কংগ্রেসের সুরে সুর মেলালেও নীরবতা পালন করেছে অনেকেই। এবার এই ইস্যুতে কংগ্রেসের বিরোধিতায় সরব হতে দেখা গেল জম্মু ও কাশ্মীরে কংগ্রেসের শরিক ন্যাশনাল কনফারেন্সকে। ইভিএমকে কেন্দ্র করে জোটের দুই দলের এমন পরস্পর বিরোধী মন্তব্যে ইন্ডিয়া জোটে চিড় ধরতে পারে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।