shono
Advertisement

সতর্ক করা হলেও ব্যবস্থা নেয়নি কেন্দ্র, দেশের সর্ববৃহৎ ব্যাংক জালিয়াতি নিয়ে বড় দাবি কংগ্রেসের

২৮টি ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ করেনি এবিজি শিপইয়ার্ড!
Posted: 02:48 PM Feb 13, 2022Updated: 03:36 PM Feb 13, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশের সবচেয়ে বড় ব্যাংক জালিয়াতির ঘটনা সামনে এসেছে গতকাল। মোদির রাজ্য গুজরাটের (Gujarat) এবিজি শিপইয়ার্ডের (ABG Shipyard) বিরুদ্ধে ২৮টি ব্যাংকের মোট ২২ হাজার ৮৪২ কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যে সিবিআই (CBI) মামলা রুজু করেছে জাহাজ নির্মাণ সংস্থার তিন কর্ণধার ঋষি অগরওয়াল, সন্থানম মুথুস্বামী ও অশ্বিনী কুমারের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় এবার কেন্দ্রকে তোপ দাগল কংগ্রেস (Congress)। কংগ্রেসের অভিযোগ, নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন এই সংস্থাকে বিপুল পরিমাণ জমি পাইয়ে দেওয়া হয়েছিল। 

Advertisement

কংগ্রেসের দাবি, ২০১৮ সালেই এবিজি শিপইয়ার্ডের দুর্নীতির বিষয়টি নজরে এনেছিল কংগ্রেস। যদিও সেই কথায় আমল দেওয়া মোদি সরকার। কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সুরজওয়ালা (Randeep Surjewala) বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারকে প্রশ্ন করুন, এবিজি শিপইয়ার্ডের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পাঁচ বছর লেগে কেন! কংগ্রেসের অভিযোগ, ২০০৭ সালে গুজরাট সরকার সুরাটের এই জাহাজ নির্মাণ সংস্থাকে ১, ২১, ০০ স্কোয়ার মিটার জমি দিয়েছিল। সেই সময় গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন আজকের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

[আরও পড়ুন: অন্ধ্রে উদ্ধার ২০০ কোটি টাকার গাঁজা! একসঙ্গে জ্বালিয়ে দিল পুলিশ, ভাইরাল ভিডিও]

উল্লেখ্য, গতকাল সিবিআই সুরাট, মুম্বাই, পুনে-সহ এবিজি শিপইয়ার্ডের ১৩টি শাখায় হানা দিয়ে সংস্থার বিরুদ্ধে একাধিক তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করে। এর পরেই সংস্থার কর্ণধারদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়। সিবিআইয়ের এফআইআর-এ উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৯ সালের ১৮ জানুয়ারিতে সংস্থা আরনেস্ট অ্যান্ড ইয়ং এলপি একটি ফরেনসিক অডিট রিপোর্ট জমা দেয়। এই রিপোর্টে বলা হয়েছে, এপ্রিল ২০১২ থেকে জুলাই ২০১৭, এই সময়পর্বে অভিযুক্তরা যৌথভাবে ব্যাংক তহবিলের যথেচ্ছ অপব্যবহার, বিশ্বাস লঙ্ঘন ও তহবিলের অবৈধ ব্যবহার করেছে। যে উদ্দেশ্যে ব্যাংকগুলি ঋণ দিয়েছিল তা করা হয়নি।” 

[আরও পড়ুন: নিরাপত্তায় গাফিলতির অভিযোগের পরও পাঞ্জাবে ভোটের প্রচারে যাচ্ছেন মোদি]

প্রসঙ্গত, এবিজি গ্রুপের এবিজি শিপইয়ার্ড লিমিটেড কোম্পানি জাহাজ নির্মাণ ও মেরামতির কাজ করে থাকে। গুজরাটের দাহেজ ও সুরাটে রয়েছে সংস্থার কারখানা। অভিযোগ, সংস্থাটি বিভিন্ন ব্যাংক থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা ঋণ নিলেও সেই ধার পরিশোধ করেনি। সংস্থাটি স্টেট ব্যঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার (SBI) থেকে ঋণ নিয়েছে ২ হাজার ৯২৫ কোটি টাকা। আইসিআইসিআই (ICICI) ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছে ৭ হাজার ৮৯ কোটি টাকা, আইডিবিআই (IDBI) ব্যাংক থেকে জাহাজ নির্মাণ সংস্থাটি ঋণ নিয়েছে ৩ হাজার ৬৩৪ কোটি টাকা। ১ হাজার ৬১৪ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে ব্যাংক অফ বরোদা থেকে, ১ হাজার ২৪৪ কোটি নিয়েছে পাঞ্জাব ন্যাশানাল ব্যাংক থেকে এবং ইন্ডিয়ান ওভারসিজ ব্যাংক থেকে নিয়েছে ১ হাজার ২২৮ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে অর্থের পরিমাণ ২২ হাজার ৮৪২ কোটি টাকা। 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement