সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শুরু হল কংগ্রেসের বহুচর্চিত ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’। ১৫০ দিনে ৩ হাজার ৫০০ কিলোমিটারের ‘কন্যাকুমারী সে কাশ্মীর ভারত জোড়ো যাত্রা’র (Bharat Jodo Yatra) এই কর্মসূচির কথা ঘোষণা করা হয়েছিল গত মে মাসে রাজস্থানের উদয়পুরে আয়োজিত কংগ্রেসের চিন্তন শিবিরে। এদিন যাত্রা শুরুর মুহূর্তে বক্তব্য রাখার সময় আরএসএস ও বিজেপিকে আক্রমণ করতে দেখা গেল কংগ্রেস (Congress) নেতা রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi)।
শতাব্দী প্রাচীন দলের প্রাক্তন সভাপতির কথায়, ”আজ দেশের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানই আরএসএস (RSS) ও বিজেপির (BJP) হাতে আক্রান্ত। ওরা মনে করে দেশের পতাকা ওদের ব্যক্তিগত সম্পত্তি। ওরা মনে করে দেশের রাজ্য ও নাগরিকদের ভবিষ্যৎ একার হাতেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।” সেই সঙ্গে তাঁর আরও অভিযোগ, ”বিজেপি, আরএসএস মনে করে ইডি, সিবিআই, আয়কর দপ্তরকে ব্যবহার করে বিরোধীদের ভয় দেখাবে।” সম্প্রতি রাহুলকে পঞ্চাশ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে জেরা করেছিল। সেই প্রসঙ্গে রাহুলের তোপ, ”আমাকে কত ঘণ্টা জেরা করা হল, সেটা বড় ব্যাপার নয়। দেশের কোনও বিরোধী নেতাই বিজেপিকে ভয় পায় না।”
[আরও পড়ুন: মুক্তিযুদ্ধে শহিদ ভারতীয় জওয়ানদের শ্রদ্ধাজ্ঞাপন হাসিনার, উত্তরসূরিদের জন্য ঘোষণা ছাত্রবৃত্তির]
উল্লেখ্য, বুধবার কন্যাকুমারিকায় সূচনা হল কংগ্রেসের ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’র। ১৯৪২ সালে কংগ্রেস ভারত ছাড়ো আন্দোলন করেছিল। সেই কথাকে মাথায় রেখেই এবারের যাত্রার পরিকল্পনা। বলা হচ্ছে, এই যাত্রার মধ্যে দিয়ে দেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করার লক্ষ্যমাত্রাই রয়েছে কংগ্রেসের। ১২টি রাজ্য ও ২টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ১৫০ দিনে সাড়ে তিন হাজার কিলোমিটার পথ হাঁটার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এই মিছিলের যাত্রাপথের সবথেকে বেশি অংশ রয়েছে কেরল, কর্ণাটক, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান ও তেলেঙ্গানায়।
‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ শুরুর ঠিক আগে দলের সভাপতি নির্বাচন ঘোষণা হওয়ায় গোষ্ঠীকোন্দল নতুন করে মাথাচাড়া দিয়েছে। দলত্যাগ করেছেন গুলাম নবি আজাদের (Ghulam Nabi Azad) মতো প্রবীণ ও অভিজ্ঞ নেতা। কাশ্মীরে ভাঙন অব্যাহত। সেইসঙ্গে ফের সক্রিয় হয়েছে দলের অভ্যন্তরে বিক্ষুব্ধগোষ্ঠী বলে পরিচিত জি-২৩ গোষ্ঠীর কয়েকজন সদস্য। নির্বাচনে ভোটার তালিকা প্রকাশের দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন আনন্দ শর্মা ও শশী থারুররা। সভাপতি নির্বাচনে দাঁড়ানোর ইঙ্গিতও দিয়ে রেখেছেন থারুর। এহেন পরিস্থিতিতেও এই যাত্রার দিকে ফোকাস ধরে রাখতে চাইছে কংগ্রেস। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে পায়ের তলায় হারানো জমি ফিরে পেতে মরিয়া হয়েই কংগ্রেসের এই পদক্ষেপ, এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।