সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেওয়ার কথা ছিল প্রথম সারির সাধারণ সংবাদপত্র। কিন্তু যাত্রীরা তার সঙ্গে পেলেন নিষিদ্ধ হয়ে যাওয়া উগ্র হিন্দুত্ববাদী পত্রিকা আর্যাবর্ত এক্সপ্রেস (Aryavarth Express)। যা নিয়ে তুঙ্গে বিতর্ক বেঙ্গালুরু থেকে চেন্নাইগামী শতাব্দী এক্সপ্রেসে। যাত্রীদের রোষের মুখে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে IRCTC।
আসলে, বেঙ্গালুরু-চেন্নাই শতাব্দী এক্সপ্রেসের (Shatabdi Express) যাত্রীদের সময় কাটানোর জন্য দৈনিক সংবাদপত্র দেওয়া হয়। শুক্রবার সেই দৈনিক সংবাদপত্রের সঙ্গে দেওয়া হয় বিতর্কিত ‘আর্যাবর্ত এক্সপ্রেস’ পত্রিকাও। এই পত্রিকাটি ঘোষিত হিন্দুত্ববাদী তথা মুসলিম বিরোধী। ইতিমধ্যেই বেঙ্গালুরুতে সেটি নিষিদ্ধও করা হয়েছে। শুক্রবার অর্থাৎ যেদিন শতাব্দী এক্সপ্রেসে এই পত্রিকাটি দেওয়া হয়েছিল, সেদিনই তাতে সম্পাদকীয়তে লেখা হয়, ‘ভারতের মুসলিম শাসনকালকে হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধদের নরসংহারের সময়কাল’ হিসাবে চিহ্নিত করা উচিত।
[আরও পড়ুন: কংগ্রেসে যোগ দিতে এই শর্ত দেওয়া হল প্রশান্ত কিশোরকে, পালটা কী দাবি ভোটকুশলীর?]
এই বিতর্কিত পত্রিকাটি হাতে পাওয়ার পরই ক্ষোভে ফুঁসে ওঠেন যাত্রীরা। সোজা টুইট করে IRCTC’র কাছে অভিযোগ জানান একাধিক যাত্রা। তাঁদের অভিযোগ, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে নিষিদ্ধ পত্রিকাটি বিলি করে বিভাজনের বীজ ছড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে। যাত্রীদের রোষের মুখে পড়ে বিবৃতি দিতে বাধ্য হয় IRCTC। তারা জানিয়েছে, পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে, এই কাণ্ডের দায় সংবাদপত্র বিক্রির দায়িত্বে থাকা ফেরিওয়ালার উপর ঠেলেছে IRCTC। ঠিকাদার দোষী সাব্যস্ত হলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছে তাঁরা।
[আরও পড়ুন: রাবড়ি দেবীর বাড়িতে ইফতার পার্টিতে নীতীশ, বদলাচ্ছে বিহারের রাজনৈতিক সমীকরণ?]
স্থানীয় ঠিকাদার আবার দায় ঠেলছেন সংবাদপত্রের ফেরিওয়ালাদের দিকে। তাঁর দাবি, অন্য সংবাদপত্রের সঙ্গে সাপলি হিসাবে এই পত্রিকাটি বিলি করেছিল ফেরিওয়ালা। আগামী দিনে যাতে এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখা হবে বলে জানিয়েছেন ওই ঠিকাদার।