সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তথা WHO’র ছাড়পত্র পাওয়ার একেবারে দোরগোড়ায় পৌঁছে গেল ভারত বায়োটেকের তৈরি করোনার প্রতিষেধক কোভ্যাক্সিন। ভ্যাকসিনটির তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের তথ্য খতিয়ে দেখে এর কার্যকারিতা নিয়ে মোটের উপর সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান গবেষক ডা. সৌম্যা স্বামীনাথন। ভারত বায়োটেক আশাবাদী আগামী মাসের মধ্যেই তাঁদের তৈরি টিকাটি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাবে।
ইতিমধ্যেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছে COVAXIN-এর তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল সংক্রান্ত তথ্য জমা দিয়েছে হায়দরাবাদের ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থাটি। তাঁদের দাবি, করোনার উপসর্গযুক্ত রোগীদের উপর ৭৭.৮ শতাংশ কার্যকর কোভ্যাক্সিন। যাঁদের অতিমাত্রায় উপসর্গ রয়েছে এমন রোগীদের ক্ষেত্রে ৯৩.৪ শতাংশ কার্যকরী তাঁদের টিকাটি। এমনকী, করোনার বিপজ্জনক ডেল্টা প্রজাতির বিরুদ্ধেও এই টিকাটি ৬৫.২ শতাংশ প্রতিরোধী বলে দাবি করেছে ভারত বায়োটেক। WHO’র প্রধান গবেষক ডা. সৌম্যা স্বামীনাথন COVAXIN-এর ট্রায়াল নিয়ে বেশ আশাব্যঞ্জক মন্তব্য করেছেন। এক সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, করোনার ডেল্টা প্রজাতির বিরুদ্ধে এই ভ্যাকসিনটির কার্যকারিতা খানিকটা কম হলেও, একেবারে খারাপ নয়। সব মিলিয়ে করোনা প্রতিরোধে এই ভ্যাকসিনটি যথেষ্টই কার্যকরী। ডা. স্বামীনাথন জানিয়েছেন, COVAXIN-এর তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের তথ্য খতিয়ে দেখতে আগামী ২৩ জুন বৈঠকে বসছে WHO। সেদিনই টিকাটির কার্যকারিতা নিয়ে আলোচনা হবে। ভারত বায়োটেকের আশা, এবার তাঁদের ভ্যাকসিন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ছাড়পত্র পেয়েই যাবে।
[আরও পড়ুন: ‘আগে তেলেঙ্গানা বাঁচান, পরে উত্তরপ্রদেশ নিয়ে স্বপ্ন দেখবেন’, ওয়েইসিকে খোঁচা যোগীর মন্ত্রীর]
প্রসঙ্গত, COVAXIN-এর ছাড়পত্র নিয়ে এর আগে বিস্তর জলঘোলা হয়েছে। আসলে সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এই টিকাটির আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি না থাকায় অনেকেই টিকা নেওয়ার পরও বিদেশে গিয়ে সমস্যায় পড়ছেন। এই সমস্যায় বেশি পড়তে হচ্ছে বিদেশে পাঠরত ভারতীয় ছাত্রদের। এ নিয়ে এর আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) কাছে দরবার করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। দ্রুত এই ভ্যাকসিনটির স্বীকৃতির ব্যবস্থার আরজিও জানিয়েছেন তিনি।