সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বর্ষবরণের আগেই দেশের একাধিক রাজ্যে হুড়মুড় করে বাড়ছে কোভিড (Covid)। বড়দিন থেকে নতুন বছরের আনন্দ, সবেতেই জল ঢালতে হাজির ভিলেন ভাইরাস। নেপথ্যে ওমিক্রনের সাব-ভ্যারিয়েন্ট জেএন.১। শুধু ভারতই নয়, দুনিয়া কাঁপাচ্ছে কোভিডের এই উপরূপ। সোমবার দেশে কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন ৬২৮ জন। অ্যাক্টিভ কেস ৪১৭০। চিন্তা বাড়াচ্ছে দক্ষিণের রাজ্যগুলি। গতকাল কর্নাটকে (Karnataka) নতুন করে ৩৪ জনের শরীরে মিলেছে অতি সংক্রামক জেএন.১। মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের। পরিস্থিতির দিকে নজর রেখে রাজ্য প্রশাসন প্রবীণদের মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করেছে।
এদিকে বিপুল হারে না বাড়লেও উত্তর ও মধ্য ভারতেও কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ধীরে বাড়ছে। তবে সব ক্ষেত্রে সাব ভ্যারিয়েন্ট জেএন.১-এর খবর মেলেনি। যদিও কেন্দ্রের নির্দেশে বাংলা-সহ সমস্ত রাজ্যই সতর্ক রয়েছে। এদিকে নতুন করে উদ্বেগ বাড়ায় সোমবার উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধারামাইয়া। ওই বৈঠকে হাসপাতালগুলি তৈরি থাকতে বলা হয়েছে। পর্যাপ্ত অক্সিজেন, শয্যা, ভেন্টিলেটর এবং ওষুধের ব্যবস্থা রাখতে বলা হয়ছে। যদিও নিজের বিবৃতিতে সিদ্দারামাইয়া বলেছেন, এই সাব-ভ্যারিয়েন্ট বিপজ্জনক নয়, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে। তবে আরও একটি প্রশ্ন উঠছে, কেন ডিসেম্বরেই ঘুরেফিরে বাড়বাড়ন্ত হয় করোনার?
[আরও পড়ুন: পাক নির্বাচনে মুম্বই হামলার অন্যতম চক্রী হাফিজ সইদ! মৌলবাদীদের দখলে যাবে ইসলামাবাদ?]
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, প্রধান কারণ হল শীত। বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গিয়েছে, শীতের মরসুমে ঠান্ডা এবং শুষ্ক পরিবেশে কোভিড-১৯ ছড়ায় বেশি। সেই কারণেই বর্তমানে জেএন.১- এর বাড়বাড়ন্ত। উল্লেখ্য, আবহাওয়া যে কোভিড ছড়ানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় তা আগেও দেখা গিয়েছে। একই কারণে গ্রীষ্মপ্রধান অঞ্চলের তুলনায় শীতপ্রধান জায়গায় করোনার উৎপাত তীব্র। ডিসেম্বরে ফের কোভিডে উৎপাতে অস্বস্তিতে চিন, ইংল্যান্ড, ভারত-সহ পৃথিবীর একাধিক দেশ।