সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এ যেন ফিনিক্সের মতো উত্থান। গোটা দেশে যখন বামপন্থায় বিশ্বাসীদের সংখ্যাটা একেবারে তলানিতে(অন্তত ভোটবাক্স সেটাই বলে), তখন পুরোপুরি অপ্রত্যাশিতভাবে কাশ্মীরে সাফল্য পেল লাল পতাকা। যে এলাকার মানুষের প্রতিটা দিন কাটে সেনা বাহিনীর বুটের শব্দে এবং সীমান্তের ওপার থেকে ছোঁড়া বারুদের গন্ধে। সেই ভূস্বর্গেই এবার ‘বিপ্লব’ ঘটিয়ে ফেলেছে বামেরা। প্রথমবার উপত্যকার কোনও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নিযুক্ত হয়েছেন বামপ্রার্থী। নেপথ্যে সেই ইউসুফ তারিগামি (M Y Tarigami)।
দক্ষিণ কাশ্মীরে নবগঠিত কুলগাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নিযুক্ত হয়েছেন সিপিএমের মহম্মদ আফজল (M Afzal)। এই আফজল আবার সিপিএমের (CPIM) কুলগাম জেলা সম্পাদক। কুলগাম জেলা পরিষদের ১৩ জন সদস্যই আফজলকে চেয়ারম্যান পদে সমর্থন করেছেন। ন্যাশনাল কনফারেন্সের সমর্থনে কুলগামে বোর্ড গঠন করেছে বামেরা। জেলা পরিষদের ভাইস প্রেসিডেন্ট হয়েছেন ফারুক আবদুল্লাহদের দলের প্রার্থী সাজিয়া পোসওয়াল। জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদ সিপিএমকে ছাড়ার ফলে কুলগাম মিউনিসিপ্যাল কাউন্সিলের চেয়ারম্যান পদটিও পেয়েছে ন্যাশনাল কনফারেন্স।
[আরও পড়ুন: সরকারের সমর্থনে শচীন-লতাদের টুইট করতে বাধ্য করেছে কেন্দ্র, ঘুরিয়ে কটাক্ষ রাজ ঠাকরের]
দেশজুড়ে তথাকথিত ‘হিন্দুত্ববাদী’ শক্তির প্রধান্যের মধ্যে বামেদের এই সামান্য জয়ও বাড়তি তাৎপর্য রাখে। উপত্যকায় বামেদের এই জয়ের কারিগর অবশ্যই কাশ্মীরের ‘ফিদেল কাস্ত্রো’ নামে পরিচিত ইউসুফ তারিগামি। ‘ কুলগামের চার বারের বিধায়ক তারিগামি। শেষ নির্বাচনে পরাস্ত হলেও কাশ্মীরে দীর্ঘদিন ধরে বামপন্থী রাজনীতির কাণ্ডারি তিনি। ৩৭০ ধারা বাতিলের আগে দীর্ঘদিন জেলে বন্দিও থাকতে হয়েছে তাঁকে। সেসময় অসুস্থও হয়ে পড়েন। সুপ্রিম কোর্টের অনুমতি নিয়ে তারিগামিকে দেখতে যান সীতারাম ইয়েচুরি। তারিগামিকে দিল্লিতে তুলে নিয়ে চিকিৎসাও করানো হয়। সেই তারিগামিই কাশ্মীরে লাল ঝাণ্ডার এই সাফল্যের কাণ্ডারী। আসন্ন পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনের আগে এই সাফল্য বামেদের যে বাড়তি আত্মবিশ্বাস জোগাবে তাতে সংশয় নেই।