সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শনিবার রাতভর চলল ঘূর্ণিঝড় ফেনজলের তাণ্ডব। তবে রবিবার সকালে তা শক্তি হারিয়ে পরিণত হয়েছে নিম্নচাপে। দুর্যোগের কবলে পড়ে বিপর্যস্ত চেন্নাই-পুদুচেরির বিস্তীর্ণ এলাকা। গত তিরিশ বছরে একদিনের সর্বোচ্চ ৪৬ সেন্টিমিটার বৃষ্টির সম্মুখীন হয়েছে পুদুচেরি। অন্যদিকে চেন্নাইয়ে ফেনজলের প্রকোপে তিনজনের মৃত্যুর খবর মিলেছে।
জানা গিয়েছিল, শনিবার বিকেলে তামিলনাড়ু ও পুদুচেরি উপকূলের মাঝে মহাবলীপুরমের কাছাকাছি স্থলভাগে প্রবেশ করতে চলেছে ঘূর্ণিঝড় ফেনজল। কিন্তু শেষপর্যন্ত তা প্রবেশ করে রাতের দিকে। অনেক গভীর রাত পর্যন্ত 'ল্যান্ডফলে'র প্রক্রিয়া চলতে থাকে। ভোরের দিকে তা গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়। ফেনজলের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৯০ কিমি।
আশু দুর্যোগের মোকাবিলা করতে তামিলনাড়ুর বহু স্কুল ও কলেজ আজ বন্ধ রাখা হয়েছিল। আগে থেকেই ছোট নৌকা, জেনারেটর, মোটর পাম্প, গাছ কাটার শ্রমিক ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় বন্দোবস্ত করে রাখা হয়েছিল। সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয় মৎস্যজীবীদের। দীর্ঘ সময় বন্ধ ছিল বিমান চলাচল। প্রায় ১৬ ঘণ্টার বিরতিশেষে রবিবার ভোর চারটে থেকে ফের বিমান ওঠানামা শুরু হয়েছে চেন্নাই বিমানবন্দরে। তবে বহু উড়ানই বাতিল হয়েছে কিংবা বিলম্বে উড়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
শনিবার থেকেই ফেনজলের বৃষ্টির সম্মুখীন হয় চেন্নাই ও তার নিকটবর্তী জেলাগুলি। পাশাপাশি পন্ডিচেরিতেও একই দৃশ্য দেখা যায়। যত ল্যান্ডফলের সময় এগিয়েছে তত খারাপ হয়েছে আবহাওয়া। ফলে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়। বিমান পরিষেবার মতোই বিঘ্নিত হয় ট্রেন ও বাস চলাচলও। ফেনজলের প্রকোপে চেন্নাইয়ে মৃত্যু হয়েছেন তিনজনের। তাঁদের মধ্যে একজন বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গিয়েছেন।
এদিকে বাংলার উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে ফেনজলের প্রভাব লক্ষ করা গিয়েছে। শনিবার বৃষ্টিতে ভিজেছে অনেক জেলাই। রবিবারও হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর ঝাড়গ্রাম ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলাতে। এছাড়া গোটা দক্ষিণবঙ্গে আংশিক মেঘলা আকাশ ও হালকা বৃষ্টির সামান্য সম্ভাবনা রয়েছে।