সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিরোধীদের আপত্তি উড়িয়ে লোকসভায় এক দেশ-এক ভোট (One Nation One Election) বিল সংসদে পেশ করল মোদি সরকার। প্রত্যাশিতভাবেই কেন্দ্রের পেশ করা বিলের তীব্র বিরোধিতায় সরব ইন্ডিয়া জোট। কেন্দ্রের তরফে পালটা যুক্তি খাঁড়া করলেন আইনমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল। সব মিলিয়ে সরগরম লোকসভা।
এক দেশ এক ভোটের বিপক্ষে দীর্ঘদিন বাদে একসুরে কথা বলতে শোনা গেল ইন্ডিয়া জোট শিবিরকে। কংগ্রেস সাংসদ মণীশ তিওয়ারি বললেন, "এই বিল সংবিধানের মূল কাঠামোর বিরোধী।" প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর দাবি, "এই বিল একই সঙ্গে সংবিধান এবং যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর পরিপন্থী। তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করে বললেন, "এক ব্যক্তির স্বার্থরক্ষায় এক দেশ, এক ভোট আইন আনা হয়েছে।" সমাজবাদী পার্টির তরফে ধর্মেন্দ্র যাদবের অভিযোগ, "স্বৈরাচার প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে মোদি সরকার।" সিপিএমের দাবি, "এই আইন গণতান্ত্রিক কাঠামোয় আঘাত।" ডিএমকের টি আর বালুর দাবি, "রাজ্য সরকারগুলির অধিকার খর্ব করবে এই আইন।"
বিরোধীদের একের পর এক যুক্তির পালটা এসেছে সরকার পক্ষের তরফেও। কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল বললেন, "নির্বাচন প্রক্রিয়ায় সংশোধনীর জন্য আইন আনাই যায়। এই আইনে নির্বাচন প্রক্রিয়ার সরলীকরণ হবে। বারবার নির্বাচনে সময় ও খরচ দুটোই বাঁচবে।" আইনমন্ত্রীর দাবি, "এই আইন পাশ হলেও সংবিধান কোনও আঘাত লাগবে না। বিলটির বিরোধিতা হচ্ছে শুধু রাজনৈতিক কারণে।"
বাদানুবাদের পর অবশ্য কেন্দ্র বিলটি পাশ করানোর চেষ্টা করেনি। পাঠানো হচ্ছে যৌথ সংসদীয় কমিটিতে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর দাবি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিই চেয়েছেন বিলটিকে যৌথ সংসদীয় কমিটিতে পাঠাতে। বিলটি মন্ত্রিসভায় আসার পরই প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ নিয়ে সর্বাঙ্গীন আলোচনা প্রয়োজন।