বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত, নয়াদিল্লি: রাজধানীতে ক্ষমতায় ফিরতেই সংখ্যালঘুদের কোণঠাসা করতে ময়দানে গেরুয়া শিবির! নবরাত্রির সময় দিল্লির সমস্ত মাংসের দোকান বন্ধ রাখতে হবে বলে দাবি জানালেন বিজেপির দুই বিধায়ক। সেইদিনই আবার মুসলিমদের ইদ পালন হতে পারে। ওইদিন মাংসের দোকান বন্ধ থাকলে মুসলিমরা সমস্যায় পড়বেন। ফলে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘাত হতে পারে বল মনে করছেন রাজনৈতিক মহল। যদিও বিজেপি বিধায়কদের দাবিকে সমর্থন জানিয়েছে কংগ্রেস। বিরোধিতায় ন্যাশানাল কনফারেন্স।
বিজেপি দিল্লির মসনদ দখলের পর থেকেই আশা আশঙ্কার দোলাচলে রয়েছে রাজধানীর সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষরা। নিরাপত্তহীনতায় ভুগছেন তাঁরা। এরমধ্যেই রাজ্যের দুই বিজেপি বিধায়কের দাবিকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে। গেরুয়া শিবিরের বিধায়ক রবীন্দ্রন নেগী ও নীরজ বৈশ্য মঙ্গলবার দাবি করেন ৩০ এপ্রিল নবরাত্রি শুরু হচ্ছে। নবরাত্রি চলাকালীন রাজধানীর সমস্ত মাংসের দোকান বন্ধ রাখা হোক। বিশেষ করে মন্দিরের পাশে যেসব দোকান রয়েছে। নাহলে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত লাগতে পারে বলে যুক্তি সাজান তিনি। তবে নেগীর এই দাবি এইবার প্রথম নয়। এর আগেও কাউন্সিলর থাকাকালীন তিনি নবরাত্রির দিন নিজের ওয়ার্ডের সমস্ত মাংসের দোকান বন্ধ রাখার জন্য কার্যত হুলিয়া জারি করেছিলেন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হয়।

এবার গোটা দিল্লিতে মাংসের দোকান বন্ধ রাখার দাবি জানানোর বিরোধিতা করেছে ন্যাশনাল কনফারেন্স। রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল আম আদমি পার্টির তরফে মুখ খোলা না হলেও প্রতিবাদ করেছে এনসি। ন্যাশানাল কনফারেন্সের বিধায়ক তনবির সাদির প্রতিবাদে জানান, রমজান মাস চলছে। ধর্মের নাম করে এই ধরনের দাবি কখনই গ্রহণযোগ্য নয়। জম্মু-কাশ্মীরে কোনও দোকান বা রেস্টুরেন্ট বন্ধ রাখা হবে না। কংগ্রেস সাংসদ ইমরান মাসুদ অবশ্য বিজেপির দাবিকে সমর্থন জানিয়েছেন। তিনি বলছেন, নবরাত্রির সময় দিল্লিতে মাংসের দোকান বন্ধ রাখা হলে তাঁদের কোনও আপত্তি থাকবে না।