সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিল্লি মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দিলেন দুর্নীতির অভিযোগে ধৃত আপ নেতা মণীশ সিসোদিয়া। মঙ্গলবার সিবিআইয়ের গ্রেপ্তারিকে অবৈধ ঘোষণার দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিলেন মণীশ। কিন্তু শীর্ষ আদালতেও স্বস্তি পাননি আম আদমি পার্টির (Aam Admi Party) প্রথম সারির নেতা। জামিন না পেয়ে মঙ্গলবারই দিল্লি মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
মদ কেলেঙ্কারিতে রবিবার সন্ধেয় গ্রেপ্তার করা হয় দিল্লির সদ্যপ্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রীকে। তারপর অবিজেপি প্রায় সব বিরোধী দলই তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছে। আম আদমি পার্টির দাবি ছিল, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জেরেই মণীশকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কিন্তু মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টেও জামিন পাননি তিনি।
মণীশ সিসোদিয়ার দাবি ছিল, সিবিআই বেআইনিভাবে তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে। তাঁর বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ বা প্রামাণ্য নথি নেই। সিবিআইয়ের করা গ্রেপ্তারি বাতিলের দাবিতে এদিন শীর্ষ আদালতে আবেদন করেন তিনি। এদিন আপ নেতার তরফে তাঁর আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) সওয়াল করেন, মণীশের গ্রেপ্তারি বেআইনি। তাঁর নাম সিবিআইয়ের চার্জশিটেই ছিল না। এমনকী তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তে অসহযোগিতার যে অভিযোগ আনা হয়েছে, সেটাও তেমন শক্তিশালী অজুহাত নয়।
[আরও পড়ুন: বিচ্ছেদ হতে না হতেই ফের বিয়ের পিঁড়িতে সুজাতা মণ্ডল! ভিডিওতে নিজেই দিলেন ইঙ্গিত]
কিন্তু প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচুড়ের (DY Candrachud) ডিভিশন বেঞ্চ মণীশের সেই আরজি এখনই শুনতে রাজি হয়নি। শুনানিতে প্রধান বিচারপতি বলেন, “এখনই আমরা এই মামলাটা শোনার মতো জায়গা নেই। আমাদের দরজা আপনাদের জন্য খোলা আছে। তবে সেটা এখনই নয়। আপাতত আপনাদের হাই কোর্টেই যেতে হবে। হাই কোর্ট থেকে ঘুরে আসুন।” আরেক বিচারপতি পি এস নরসিমা রাও (PS Narasima Rao) বলছেন, শুধু দিল্লিতে থাকেন বলে বাড়তি সুবিধা নেবেন না। এটা খুব খারাপ দৃষ্টান্ত হবে। সুপ্রিম কোর্ট মামলা শুনতে না চাওয়ার অর্থ আপাতত সিবিআই হেফাজতেই থাকতে হবে দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রীকে। সোমবারই দিল্লি হাই কোর্ট তাঁকে ৫ দিনের সিবিআই হেফাজতে পাঠিয়েছে।
[আরও পড়ুন: এটা উত্তর কোরিয়া নাকি! দূরদর্শনের গৈরিকিকরণের অভিযোগে সরব বিরোধীরা, সাফাই প্রসার ভারতীর]
এরপরই জানা গিয়েছে মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দিয়েছেন মণীশ। উপমুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পাশাপাশি মোট ১৮টি দপ্তরের দায়িত্ব ছিল তাঁর কাঁধে। সবকটি পোর্টফোলিও থেকেই ইস্তফা দিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে ইস্তফা দিয়েছেন দুর্নীতির অভিযোগে ধৃত আরেক আপ মন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈনও (Satyendra Jain)। মনে করা হচ্ছে, স্বচ্ছ ভাবমূর্তি রক্ষা করতেই মণীশের ইস্তফাপত্র গ্রহণ করছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal)।