সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গাড়ি পার্ক করা নিয়ে বচসা। তার জেরে ব্যস্ত সময়ে রেস্তরাঁতে চলল ভাঙচুর। রেস্তরাঁর কাচ ভেঙে চেয়ার উলটে, খাবার নষ্ট করে দক্ষযজ্ঞ বাধালো জনা পঁচিশ ডেলিভারি বয়, এমনই অভিযোগ উঠেছে। ফ্যামিলি রেস্তরাঁ হওয়ায় শনিবারের রাতে বেশ ভিড় হয়েছিল। অনেকেই পরিবারের সদস্যদের নিয়ে খেতে এসেছিলেন। এহেন অপ্রীতিকর ঘটনায় সবাই হকচকিয়ে যান। রেস্তরাঁর মালিক রোহিত পরিস্থিতি বিবেচনা করে খেতে আসা মহিলা ও শিশুদের রান্নাঘর লাগোয়া দরজা দিয়ে বাইরে বের করে দেন। এই ঘটনায় পুলিশে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এখনও পর্যন্ত একজন কাউকেই গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। শনিবার রাত ৮.৩০ মিনিটে ঘটনাটি ঘটেছে নয়াদিল্লির কালকাজি এলাকায়।
[জোট সরকার শরীরে বিষক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে, কুমারস্বামীর মন্তব্যে জল্পনা]
জানা গিয়েছে, রেস্তরাঁ লাগোয়া পার্কিং লটে মোটর সাইকেল রাখা নিয়েই গন্ডগোলের সূত্রপাত। শনিবারের সন্ধ্যায় কালকাজি এলাকায় লোকজনের ভিড় এমনিতেই বেশি থাকে। এদিন আবার ট্রাফিক জ্যামও ছিল চোখে পড়ার মতো। হোটেল লাগোয়া পার্কিংলটে ডেলিভারি বয় ঠিকমতো বাইকটি রাখতে পারছিল না। তাতে আরও জ্যাম বাড়ছিল। এই দেখে কর্তব্যরত ট্রাফিক সার্জেন্ট ওই ডেলিভারি বয়কে মোটর সাইকেল নিয়ে চলে যেতে বলেন। এদিকে ঘটনাটি ঘটছে রোহিতবাবুর রেস্তরাঁর সামনেই। ডেলিভারি বয়ের মনে হয়েছিল, নিশ্চয়ই তার বিরুদ্ধে ট্রাফিক পুলিশকে অভিযোগ জানিয়েছেন রোহিত। তাই তাকে সরে যেতে বলেছেন ওই পুলিশকর্মী। এরপরেই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে অন্য ডেলিভারি বয়দের কাছে খবর পৌঁছায়। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই প্রায় ২৫ জনের একটি দল ঘটনাস্থলে আসে। তখন হোটেলে কাস্টমারদের ভিড়। চলছে খাওয়াদাওয়া। অভিযোগ, আচমকাই ২৫ জনের দলটি লাঠি হাতে হোটেলে ঢুকে পড়ে। শুরু হয় ভাঙচুর। কাচ ভেঙে চেয়ার টেবিল খাবার নষ্ট করে পরিস্থিতি অশান্ত করে তোলে। হোটেলে উপস্থিত কাস্টমাররা ভয় পেয়ে যান। পরিস্থিতি বুঝে হোটেলের রান্নাঘর লাগোয়া দরজা দিয়ে শিশু ও মহিলাদের নিরাপদে বাইরে বের করে দেন হোটেল মালিক রোহিত।
[গণধর্ষণের পর মহিলাকে মন্দিরের মধ্যে পুড়িয়ে মারল ৫ যুবক, প্রশ্নের মুখে যোগী প্রশাসন]
এই ঘটনার সময় হোটেলে প্রায় ৩০জন কাস্টমার ছিলেন। তাঁরাই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী। এছাড়াও রেস্তরাঁর সিসিটিভি ফুটেজে ভাঙচুরের দৃশ্য ধরা পড়েছে। ইতিমধ্যে অভিযোগ দায়েরও হয়েছে। তবে অভিযুক্ত ডেলিভারি বয়দের কাউকেই গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। চলছে তদন্ত।