সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিল্লিতে ২০ বছরের অঞ্জলি সিংয়ের ছেঁচড়ে মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হল ‘ঘাতক’ গাড়ির মালিক আশুতোষকে। পুলিশের কাছে মিথ্যে বয়ান দিয়ে বাকিদের বাঁচানোর চেষ্টা করছিল সে। খবর পুলিশ সূত্রে।
গত রবিবার, অর্থাৎ বছরের প্রথম দিন ভোরের দিকে সুলতানপুরীতে ঘটেছিল এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা। স্কুটিতে করে যাচ্ছিলেন ২০ বছরের অঞ্জলি। সেই সময়ই স্কুটিটিতে সজোরে ধাক্কা মারে এক বেপরোয়া গাড়ি। গাড়ির নিচে আটকে যায় তরুণীর পা। সেই অবস্থাতেই তাঁকে টেনে হিঁচড়ে প্রায় চার কিলোমিটার গিয়ে যায় গাড়িটি। সুলতানপুরী থেকে কাঞ্ঝাওয়ালা পর্যন্ত ছ্যাঁচড়াতে ছ্যাঁচড়াতেই পৌঁছে যান তরুণী। তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। সেই ঘটনায় তোলপাড় গোটা দেশ। তদন্তে নেমে পুলিশ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে। তারা হল দীপক খান্না, মনোজ মিত্তাল, অমিত খান্না, কৃষণ ও মিঠু। শুক্রবার গাড়ির মালিক আশুতোষকেও নিজেদের জালে নিল পুলিশ।
[আরও পড়ুন: প্রবল শীতে কাঁপছে বাংলাদেশ, এক সপ্তাহে মৃত্যুর কবলে ১৫ শিশু]
দিল্লির আইনশৃঙ্খলা বিভাগের স্পেশ্যাল পুলিশ কমিশনার সাগরপ্রীত হুডা জানান, আশুতোষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সে অন্যদের বাঁচাতে পুলিশকে ভুল তথ্য দিয়েছিল। প্রথমে জানা গিয়েছিল, গাড়িটি চালাচ্ছিল দীপক খান্না। কিন্তু পরে জানা যায়, চালকের আসনে ছিল তার তুতো ভাই অমিত খান্না। সেই সময় দীপক গাড়িতেই ছিল না। ছিল বাড়িতে। অমিত যখন বুঝতে পারে, গাড়ির নিচে আটকে থাকা তরুণীকে নিয়েই দীর্ঘ পথ পৌঁছে গিয়েছে সে, কথন দিশেহারা হয়ে পড়ে। ফোন করে তুতো ভাই দীপক ও অঙ্কুশকে। দীপক পুরো ঘটনা জানার পর নিজের কাঁধে সমস্ত দায় নেয়। কারণ বিনা লাইসেন্সে গাড়ি চালাচ্ছিল অমিত। পুলিশের ধারণা, আইনজীবীর সঙ্গে আলোচনার পরই পুলিশকে বিভ্রান্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকতে পারে তারা।
কিন্তু নয়া সিসিটিভি ফুটেজ ও কল রেকর্ড হাতে আসতেই পুলিশের কাছে পুরো বিষয়টি পরিষ্কার হয়। দেখা যায়, ঘটনার ঘণ্টা দুয়েক পর গাড়ির মালিক আশুতোষের হাতে গাড়ির চাবি তুলে দিচ্ছে অমিত। ঘটনায় অভিযুক্ত সপ্তম ব্যক্তি অঙ্কুশ খান্নাকেও এদিন গ্রেপ্তার করা হয়।