সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কম্বোডিয়ায় ৩২৮ ফুটের ভগবান বিষ্ণুর একটি মূর্তি গুঁড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে থাইল্যান্ডের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনার কড়া নিন্দা করল ভারত। বুধবার বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল সাফ জানান, কম্বোডিয়ায় বিষ্ণু মূর্তি ভাঙার ঘটনা অত্যন্ত অসম্মানজনক। এটি ভক্তদের ভাবাবেগে আঘাত করে।
রণধীর বলেন, "কম্বোডিয়া-থাইল্যান্ডের চলতি সংঘর্ষের মাঝেই কম্বোডিয়ায় বিষ্ণু মূর্তি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনা অত্যন্ত অসম্মানজনক। এই অঞ্চলের মানুষ হিন্দু এবং বৌদ্ধ দেবতাদের গভীর শ্রদ্ধা এবং পুজো করেন। এটি সভ্যতাগত ঐতিহ্যের অংশ। এই
ঘটনা সেই ঐতিহ্য এবং মানুষের ভাবাবেগে আঘাত করবে।" একইসঙ্গে তিনি দু'দেশকে যুদ্ধ বন্ধ করে শান্তি প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়েছে।
২০১৪ সালে কম্বোডিয়ার একটি মন্দিরে ওই বিষ্ণুমূর্তিটি স্থাপন করা হয়। ৩২৮ ফুট উচ্চতার মূর্তিটি যে এলাকায় রয়েছে, সেটির কাছেই থাইল্যান্ড সীমান্ত। বর্তমানে দু'দেশ ফের সংঘাতে লিপ্ত হয়েছে। সেই আঁচ এসে পড়েছে মন্দিরে। ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছে (যদিও সেই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল), জেসিবি মেশিন ব্যবহার করে বিরাটাকার মূর্তিটিকে ভেঙে ফেলছে একদল লোক। কিছু মানুষ দূরে দাঁড়িয়ে এই ধ্বংসযজ্ঞ দেখছেন। এক বিবৃতিতে কম্বোডিয়ান মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, 'আমরা বৌদ্ধ ও হিন্দু অনুসারীদের পূজ্য প্রাচীন মন্দির এবং মূর্তি ধ্বংসের তীব্র নিন্দা করছি।'
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের জুলাই মাসে টানা পাঁচদিন যুদ্ধ চলে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দুই দেশ থাইল্যান্ড এবং কম্বোডিয়ার মধ্যে। অন্তত ৪০ জনের মৃত্যু হয় দু’পক্ষে। তিনদিন গোলাবর্ষণের পর থাইল্যান্ডের কাছে যুদ্ধ থামানোর আর্জি জানায় কম্বোডিয়া। যদিও সে প্রস্তাব কানে তোলেনি থাইল্যান্ড। শেষ পর্যন্ত মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের মধ্যস্থতায় সম্পূর্ণ সংঘর্ষবিরতিতে রাজি হয় দু’পক্ষ। যদিও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেন, তাঁর প্রচেষ্টাতেই হিংসা বন্ধে রাজি হয়েছে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া। এই পরিস্থিতিতে অক্টোবরের শান্তিচুক্তির পর মনে করা হয়েছিল, বোধহয় স্থায়ী শান্তি এবার ফিরেছে। কিন্তু ডিসেম্বরেই ফের ভয়াবহ হয়ে ওঠে পরিস্থিতি।
