সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লাক্ষাদ্বীপের (Lakshadweep) প্রশাসককে নিয়ে রাজনৈতিক অস্থিরতা অব্যাহত। নয়া প্রশাসক প্রফুল্ল প্যাটেলের (Praful Patel) বিতর্কিত সিদ্ধান্তগুলির বিরোধিতা করে এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi) চিঠি লিখলেন দেশের ৯৩ জন অবসরপ্রাপ্ত আমলা। তাঁদের দাবি, কোনও রকম রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নন তাঁরা। কেবলমাত্র ভারতীয় সংবিধানের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকেই এই চিঠি লিখছেন। চিঠিতে তাঁদের গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে।
কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল লাক্ষা দ্বীপপুঞ্জের বর্তমান প্রশাসক গুজরাটের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্র রাষ্ট্রমন্ত্রী প্রফুল্ল প্যাটেল। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে, সেখানে উন্নয়নের নামে এমন ধরনের পদক্ষেপ করা হচ্ছে যা বিতর্কিত। সেপ্রসঙ্গে চিঠিতে লেখা হয়েছে, ‘‘এটা স্পষ্ট যে গৃহীত সব ধরনের পদক্ষেপই একটি বৃহৎ প্রোপাগান্ডার অংশ। যা দ্বীপপুঞ্জ ও এখানকার বাসিন্দাদের স্বার্থ ও আবেগের পরিপন্থী।’’ তাঁদের আরও অভিযোগ, দ্বীপবাসীর সঙ্গে কোনও রকম আলোচনা না করেই এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
[আরও পড়ুন: করোনা কালে জনসেবায় কী কী করেছে দল? রিপোর্ট নিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি]
প্রশাসনের ঠিক কী ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়ে এত বিতর্ক? গোমাংসের বিক্রি সীমাবদ্ধ করা, জমির নতুন নিয়ম, মদ্যপানের জন্য মুসলিম অধ্যুষিত দ্বীপাঞ্চল উন্মুক্ত করে দেওয়া (যা ওখানে নিষিদ্ধ ছিল ধর্মীয় সংস্কারগত কারণে)- একের পর এক সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্ক ঘনিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়া উত্তাল হয়েছে প্রতিবাদে। অনলাইনে #SaveLakshadweep এই হ্যাশট্যাগে অনেকেই তাঁদের প্রতিবাদী পোস্ট শেয়ার করেছেন।
পার্শ্ববর্তী রাজ্য কেরলের সিপিএম-কংগ্রেস নেতারাও প্রতিবাদ জানিয়েছেন এই সিদ্ধান্তগুলির। কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন জানিয়েছেন, প্রশাসকের এই সব পদক্ষেপ লাক্ষাদ্বীপের সংস্কৃতি এবং মানুষের জীবনযাপনকেই বিরাট চ্যালেঞ্জের সামনে ফেলে দিয়েছে। এমনকী, কেরলের সঙ্গে লাক্ষাদ্বীপের দীর্ঘদিনের সুসম্পর্ককেও নষ্ট করার চেষ্টা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
তবে সব সিদ্ধান্তে এখনও কেন্দ্রের সিলমোহর পড়েনি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক অনুমোদন না দেওয়া পর্যন্ত সেগুলি কার্যকর হবে না। এই পরিস্থিতিতে লাক্ষাদ্বীপে কোনও ‘পূর্ণ সময়ের, জনদরদী, দায়িত্ববান’ প্রশাসককে নিয়োগ করার আরজি জানাচ্ছেন প্রাক্তন আমলারা।