shono
Advertisement

‘আমার সঙ্গে কথা বলবেন না!’, সংসদে স্মৃতি ইরানির বিরুদ্ধে প্রকাশ্যেই ফুঁসে উঠলেন সোনিয়া

অধীর চৌধুরীর দ্রৌপদী মুর্মুকে ‘রাষ্ট্রপত্নী’ বলা নিয়ে বিতর্কে উত্তাল সংসদ।
Posted: 03:25 PM Jul 28, 2022Updated: 06:53 PM Jul 28, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সদ্য নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে (Draupadi Murmu) নিয়ে লিঙ্গবৈষম্য মূলক মন্তব্য করার অভিযোগে বিতর্কে জড়ালেন কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury)। এই পরিস্থিতিতে সংসদে স্মৃতি ইরানির সঙ্গে বচসায় জড়াতে দেখা গেল কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে (Sonia Gandhi)। প্রকাশ্যেই সোনিয়াকে বলতে শোনা গেল, ”আমার সঙ্গে কথা বলবেন না!”

Advertisement

বুধবার সোনিয়া গান্ধীকে ইডির জেরার প্রতিবাদে ধরনায় বসেছিলেন অধীর চৌধুরী-সহ কংগ্রেস (Congress) সাংসদরা। সেসময় এক সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে অধীর দ্রৌপদী মুর্মুকে (Draupadi Murmu) রাষ্ট্রপতি না বলে ‘রাষ্ট্রপত্নী’ বলে বসেন। সেই ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই ফুঁসে ওঠে বিজেপি। আসরে নেমে যান স্মৃতি ইরানি। তিনি বলেন, “সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi) দেশের সর্বোচ্চ আইনসভায় একজন মহিলাকে এভাবে অপমানিত হতে দিলেন। তিনি আদিবাসী বিরোধী, দলিত বিরোধী এবং নারী বিদ্বেষী।” স্মৃতির দাবি, এহেন মন্তব্যের জন্য অধীর ও সোনিয়া, দু’জনকেই দ্রুত ক্ষমা চাইতে হবে।

[আরও পড়ুন: ভুয়ো সিমে কথা, মাছ ধরা থেকে লং ড্রাইভ! পার্থ-অর্পিতার সম্পর্কের জল কতদূর?]

এরপরই লোকসভার এদিনের অধিবেশন স্থগিত ঘোষণা করে দেন স্পিকার। এরপরই সোনিয়াকে দেখা যায় কক্ষ ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার উপক্রম করতে। কিন্তু আচমকাই তিনি ফিরে আসেন। স্লোগান দিতে থাকা বিজেপি সাংসদদের দিকে এগিয়ে যান তিনি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন আরও দু’জন কংগ্রেস সাংসদ।

সোজাসুজি বিজেপি সাংসদ রমা দেবীর কাছে সোনিয়া জানতে চেয়েছিলেন, ”অধীররঞ্জন চৌধুরী ইতিমধ্যেই ক্ষমা চেয়েছেন। তাহলে আমাকে কেন এর মধ্যে টানা হচ্ছে?” সূত্রানুসারে জানা যাচ্ছে, এরপরই স্মৃতি ইরানি সেখানে গিয়ে বলেন, ”ম্যাডাম, আমি কি আপনাকে সাহায্য করতে পারি? আমিই আপনার নাম নিয়েছিলাম।” তাঁর কথা শুনেই ক্ষুব্ধ ভঙ্গিতে সোনিয়া তাঁর দিকে তাকিয়ে সটান বলেন, ”আমার সঙ্গে কথা বলবেন না।”

[আরও পড়ুন: অর্পিতার বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাটে স্বর্ণভাণ্ডার, কী কী উদ্ধার করল ইডি?]

এদিকে স্মৃতির আচরণে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে কংগ্রেস। এদিন কংগ্রেসের টুইটারে লেখা হয়, ”স্মৃতি ইরানির সোনিয়ার প্রতি নির্লজ্জ আচরণ রাজনীতির নতুন অবনমনের চিহ্ন। তিনি কেবল এই কক্ষের মহিলাদেরই অসম্মান করলেন না। দেশের সমস্ত মহিলাকেই অপমান করলেন। কিন্তু আমরা গোয়ার বেআইনি বার কেলেঙ্কারি নিয়ে প্রশ্ন তুলতেই থাকব। স্মৃতি ইরানির লজ্জা হওয়া উচিত।” 

উল্লেখ্য, স্মৃতি একা নন, এদিন সংসদ ভবনে প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ দেখান বিজেপির অন্য সাংসদরাও। যাদের নেতৃত্বে ছিলেন মোদি মন্ত্রিসভার আরেক মহিলা মুখ নির্মলা সীতারমণ তাঁদের নেতৃত্বে ছিলেন। এদিকে কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী জানিয়েছেন, যদি তাঁর মন্তব্যে দ্রৌপদী মুর্মু আঘাত পেয়ে থাকেন, তাহলে তিনি ব্যক্তিগত ভাবে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ক্ষমা চাইতে প্রস্তুত।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement