সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের প্রকাশ্যে প্রতিহিংসার রাজনীতি! মঙ্গলবার আইএনডিআই জোটের বৈঠকের পরই বুধবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-র সমন বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদবকে (Lalu Prasad Yadav)। সমন পাঠানো হল রাজ্যের বর্তমান উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদবকেও (Tejashwi Yadav)।
২৭ ডিসেম্বর লালুপ্রসাদকে এবং তার আগে ২২ তারিখ তেজস্বীকে তলব করেছে ইডি। ‘জমির বদলে চাকরি’ দুর্নীতি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁদের আরও এক বার ডেকে পাঠাল ইডি। এর পরই ফের প্রতিহিংসার অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা। তাদের অভিযোগ, রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে না পেরেই আবার এজেন্সিকে কাজে লাগিয়ে বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা করেছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার।
প্রসঙ্গত, গত অক্টোবর মাসেই জমির বিনিময়ে রেলে চাকরির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় জামিন পান লালুপ্রসাদ। দিল্লির এক আদালত থেকে জামিন পান লালুর স্ত্রী ও বিহারের আর এক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রাবড়ি দেবী এবং তাঁদের পুত্র তেজস্বী যাদবও।
[আরও পড়ুন: আরও দামি ডিম-মুরগির মাংস, কেক-পিকনিকের জেরে হু হু করে বাড়ছে দাম]
লালু প্রথম ইউপিএ সরকারের রেলমন্ত্রী থাকাকালীন (২০০৪-০৯) বিহারের বহু যুবককে জমির বিনিময়ে রেলের ‘গ্রুপ ডি’ পদে নিয়োগ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। আঙুল ওঠে লালুর স্ত্রী তথা বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রাবড়ি এবং তাঁদের দুই কন্যা মিসা এবং হেমার বিরুদ্ধে। ঘটনার তদন্তে গত বছরের ২০ মে সিবিআই পাটনা, দিল্লি-সহ দেশের মোট ১৫টি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিল। এর পর আগস্টে অভিযান চালানো হয় আরজেডির একাধিক নেতার বাড়িতে। গত বছরের ২২ অক্টোবর ‘জমির বদলে চাকরি’ দুর্নীতি মামলায় চার্জশিট পেশ করে সিবিআই। লালু, রাবড়ি এবং তাঁদের দুই কন্যা মিসা ভারতী এবং হেমা যাদবের নামও রয়েছে।
[আরও পড়ুন: বড়দিনের শহরে রাস্তা আটকে কেকের পসরা, মাসে মোটা টাকা জরিমানা পুরসভার]
এ ছাড়াও আরও ১২ জনের নাম রয়েছে চার্জশিটে। সিবিআইয়ের তরফে দাবি করা হয়, লালুপ্রসাদ রেলমন্ত্রী থাকার সময় বিভিন্ন ‘অযোগ্য’ ব্যক্তিকে মুম্বই, জব্বলপুর, কলকাতা-সহ রেলের বিভিন্ন জোনে চাকরি পাইয়ে দেওয়া হয়। অভিযোগ, অবৈধ উপায়ে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার বিনিময়ে চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে মোটা টাকা বা জমি নিয়েছিলেন লালুর পরিবার এবং তাদের ঘনিষ্ঠ কয়েকজন নেতা।