সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘ নো মার্সি। গো অল আউট।’ এমনটাই নির্দেশ রয়েছে সেনার উপর। তাই ‘দোভাল ডকট্রাইন’ মেনে জম্মু ও কাশ্মীরে জঙ্গিদমনে নেমেছে ভারতীয় সেনা। ফলে কার্যত কোণঠাসা জেহাদিরা। এহেন পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার ফের বড়সড় সাফল্য পেল সেনা। প্রবল সংঘর্ষে চার জঙ্গিকে নিকেশ করলেন জওয়ানরা।
সেনা সূত্রে খবর, কুপওয়ারা জেলার আরামপোরা এলাকায় সেনা-জঙ্গি সংঘর্ষ বাধে। ওই ঘটনায় নিহত হয় চার জঙ্গি। শ্রীনগরে সেনার মুখপাত্র কর্নেল রাজেশ কালিয়া জানান, ওই এলাকায় জঙ্গিদের লুকিয়ে থাকার খবর দেন গোয়েন্দারা। তারপর ‘সার্চ অপারেশন’ শুরু করা হয়। ঘিরে ফেলা হয় সমস্ত এলাকা। সংঘর্ষস্থল থেকে বেরনো ও ঢোকার সব পথ ব্যারিকেড করা হয়। ফলে পালানোর পথ বন্ধ হয়ে যায় জঙ্গিদের। উপায় না পেয়ে সেনার টহলদার বাহিনীর উপর গুলি চালাতে শুরু করে জেহাদিরা। পালটা জবাব দেন জওয়ানরাও। বেশ কিছুক্ষণ ধরে চলা গুলির লড়াইয়ের পর ঘটনাস্থল থেকে চার সন্ত্রাসবাদীর দেহ উদ্ধার করা হয়। তবে এখনও এলাকায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
উত্তর কাশ্মীরের কুপওয়ারা জেলা সন্ত্রাসের ‘হট বেড’ বলেই পরিচিত। পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন লস্কর, জইশ ও হিজবুলের ঘাঁটি রয়েছে সেখানে। বিশেষজ্ঞদের মতে স্থানীয়দের একাংশ জেহাদিদের মদত দিচ্ছে। সেনাবাহিনীর গতিবিধির খবরও জঙ্গিদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে তারা।
প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন উপত্যকায় জঙ্গিদের কোমর ভেঙে দিয়েছে ‘দোভাল ডকট্রাইন’। সেনা, পুলিশ ও গোয়েন্দাদের মধ্যে সমন্বয় বাড়িয়ে জঙ্গি ডেরায় ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ অভিযানের পন্থাই বাতলে ছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল। তাঁর নির্দেশ মেনেই কাশ্মীরে অভিযান চালাচ্ছে সেনা। ‘কিল লিস্ট’ মোতাবেক একে একে খতম করা হচ্ছে লস্কর, হিজবুলের জঙ্গি নেতাদের। সেনার হাতে নিকেশ হয় অমরনাথ হামলার মূলচক্রী ও লস্কর কমান্ডার আবু ইসমাইল। তার আগে খতম হয় ইসমাইলের পূর্বসূরি আবু দুজানা। ফলে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়েছে জঙ্গিদের মধ্যে। কমান্ডার পদে বসলেই সেনার গুলিতে প্রাণ দিতে হবে বলেই নাকি মনে করছে তারা।
[তাড়িয়ে দিয়েছে ছেলে, রাস্তায় ঠাঁই বৃদ্ধার]
The post উপত্যকায় ভয়াবহ সংঘর্ষ, সেনার হাতে নিকেশ চার জঙ্গি appeared first on Sangbad Pratidin.