সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দাবি অনুযায়ী চলতি বছরের শেষ অথবা নতুন বছরের শুরুতে ভারতের বাজারে আসতে পারে করোনার ভ্যাকসিন। আবিষ্কার হলেই তো শুধু চলবে না, দেশবাসীর মধ্যে তার দ্রুত বণ্টনও প্রয়োজন। সেই বন্টন প্রক্রিয়া নিয়ে শনিবার বৈঠকে বসলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। করোনার ভ্যাকসিন সরবরাহের জন্য প্রশাসনকে নির্বাচন প্রক্রিয়ার মতো তৎপরতা দেখাতে সেই বৈঠক থেকে নির্দেশ দিলেন তিনি।
এদিন নীতি আয়োগ, স্বাস্থ্যমন্ত্রকের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দেশের করোনা সংক্রমণের গ্রাফ নিম্নমুখী হওয়ার প্রশংসা করেও সতর্ক থাকতে পরামর্শ দেন। এরপরই করোনা ভ্যাকসিনের সরবরাহ নিয়ে ত্রুটিহীন ব্যবস্থাপনা করার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, “দেশের প্রতিটি কোণায় ভ্যাকসিন পৌঁছে দেওয়ার জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থাপনার জন্য প্রশাসনকে তৎপর হতে হবে। স্থানীয়, রাজ্য ও জাতীয় স্তরের প্রশাসনকে একযোগ কাজ করতে হবে। জাতীয় বিপর্যয় বা নির্বাচন প্রক্রিয়ার সময় প্রশাসন যেমন ত্রুটিহীন ব্যবস্থাপনা করে বা তৎপরতা দেখায়, এবার তেমনটাই করতে হবে।” একইসঙ্গে এই কজে সাইবার প্রযুক্তির সাহায্যও লাগবে বলে জানিয়েছেন তিনি। কোথায় ভ্যাকসিন রাখা হবে, কীভাবে বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছে দেওয়া হবে, কীভাবে জনগণকে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে, পুরো বিষয়ে কীভাবে নজর রাখা হবে-এ সমস্ত কিছু নিয়ে দ্রুত ব্লুপ্রিন্ট তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
[আরও পড়ুন : ভোটের মুখে ‘সুখা’ বিহারে সুরার বন্যা! উত্তরপ্রদেশ থেকে পাচার হওয়ার পথে উদ্ধার প্রচুর মদ]
দেশের মধ্যে ভ্যাকসিন পৌঁছে দিলেই হবে না, প্রতিবেশী দেশ ও বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে এই ভ্যাকসিন পৌঁছে দেওয়ার পক্ষেও সওয়াল করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এদিন বৈঠকে মোদি জানিয়েছেন, “শুধুমাত্র দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ভ্যাকসিন পৌঁছে দেওয়াই আমাদের কাজ নয়। বিশ্বের মানুষের কাছেও এই প্রতিষেধক পৌঁছে দেওয়া ভারতের দায়িত্ব।” তার জন্য তৎপর ও সজাগ হয়ে কাজ করারও পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।