সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশনের (ইপিএফও) আওতাভুক্ত বেসরকারি ক্ষেত্রের কর্মচারীরা বহুদিন ধরেই ন্যূনতম পেনশন বৃদ্ধির দাবি জানিয়ে আসছে। সেই আবেদনের ভিত্তিতে এবারের বাজেটে সরকার পদক্ষেপ করার বিষয়ে বিবেচনা করতে পারে বলে দাবি করা হয়েছে কয়েকটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে। এমপ্লয়িজ পেনশন স্কিমে (ইপিএস) বর্তমানে ন্যূনতম পেনশন প্রতি মাসে ১ হাজার টাকা। তা বাড়িয়ে ৭ হাজার ৫০০ টাকা করা হতে পারে।
আগামী ১ ফেব্রুয়ারি সংসদে ২০২৫-'২৬ সালের সাধারণ বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। তার আগে তিনি সব ক্ষেত্রের বক্তব্য শুনছেন। গত ১০ জানুয়ারি তাঁর সঙ্গে দেখা করেন ইপিএস-৯৫ পেনশনভোগীদের একটি প্রতিনিধি দল। তাঁরাই ন্যূনতম পেনশন বৃদ্ধির পাশাপাশি মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধি এবং পেনশনভোগী ও তাঁর স্ত্রী/স্বামীর জন্য বিনামূল্যে চিকিৎসা সুবিধার দাবি জানিয়েছে।
এদিকে, ইপিএস-৯৫ ন্যাশনাল অ্যাজিটেশন কমিটি যেখানে ন্যূনতম পেনশন ৭ হাজার ৫০০ টাকা করার দাবি করেছে, সেখানে ট্রেড ইউনিয়নগুলির প্রস্তাব প্রতিমাসে ন্যূনতম পেনশন ৫ হাজার টাকা করা হোক। দুই পক্ষের দাবির এই ভিন্নতা বিতর্কের সৃষ্টি করেছে। পেনশনভোগীরা বলছেন, যে হারে বাজারদর বেড়েছে তাতে জীবনযাত্রার সাধারণ চাহিদা পূরণ করার জন্য অপর্যাপ্ত। কমিটি বলেছে, সরকার ২০১৪ সালে ন্যূনতম পেনশন ১০০০ টাকা নির্ধারণের ঘোষণা করলেও, ৩৬.৬০ লক্ষের বেশি পেনশনভোগী এখনও এর চেয়ে কম পেনশন পান। প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, নির্মলা সীতারমন ইপিএস-৯৫ ন্যাশনাল অ্যাজিটেশন কমিটিকে আশ্বাস দিয়েছেন যে দাবিগুলি পর্যালোচনা করা হবে।
উল্লেখ্য, ইপিএফ সদস্যরা তাদের মূল বেতনের ১২ শতাংশ প্রভিডেন্ট ফান্ডে জমা দেন, যেখানে নিয়োগকর্তারাও সমপরিমাণ টাকা জমা দেন। নিয়োগকর্তার অবদান দুটি ভাগে বিভক্ত হয়। তাতে ৮.৩৩ শতাংশ কর্মচারীদের পেনশন স্কিমে (ইপিএস) বরাদ্দ করা হয়, আর বাকি ৩.৬৭ শতাংশ ইপিএফ স্কিমে যায়।