সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মোদি-শাহর গুজরাটে (Gujarat) বিধানসভা নির্বাচনে রমরমা জাল নোটের কারবার! সুরাটে উদ্ধার হওয়া জাল নোটের (Fake currency) অঙ্ক এ পর্যন্ত ৩১৭ কোটিতে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে গুজরাট পুলিশ। সম্প্রতি গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, সুরাটের পুলিশ আমেদাবাদ-মুম্বই হাইওয়েতে পারদি গ্রামের কাছে ডিকরি এডুকেশন ট্রাস্টের একটি অ্যাম্বুলেন্স আটকে ২৫ কোটি টাকার জাল নোট ভরতি ছ’টি বাক্স উদ্ধার করে।
মঙ্গলবার এসপি হিতেশ জয়সার জানান, তদন্তে এখনও পর্যন্ত ৩১৬ কোটি ৯৮ লক্ষ টাকার জাল নোট মিলেছে। আটক হওয়া অ্যাম্বুলেন্সের চালক হিতেশ পরশোত্তম ভাই কোটিয়া জিজ্ঞাসাবাদে প্রথমে পুলিশকে জানিয়েছিল যে অ্যাম্বুলেন্সে পাওয়া জাল নোটগুলি সিনেমার শুটিংয়ের জন্য ব্যবহৃত অর্থ ছিল। এরপর হিতেশের বাড়ি থেকে ৫২ কোটি টাকার জাল নোট উদ্ধার করা হয়।
[আরও পড়ুন: ব্যক্তিগত স্মৃতিকে অসামান্য শিল্পরূপ, সাহিত্যে নোবেল পেলেন ফরাসি সাহিত্যিক]
জামনগরের ডিএসপি প্রেমসুখ দেলু জানান, হিতেশের বাড়িতে ১৯টি বাক্স থেকে জাল নোট উদ্ধার করা হয়েছে। আসল টাকায় ১৭টি শনাক্তকরণ চিহ্নের মধ্যে শুধুমাত্র ১৪টিই এই নোটগুলির সঙ্গে মেলে। এই বিপুল জাল নোট কোথায় ছাপা হচ্ছে এবং কোন চ্যানেলে বাজারে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
২০১৬ সালের নভেম্বরে মোদি সরকার ঘোষণা করেছিল নোটবন্দির। রাতারাতি বাতিল হয়ে গিয়েছিল ৫০০ ও ১ হাজার টাকার নোট। জানা যায়, ওই পদক্ষেপের ফলে ৮৬ শতাংশ নোট বাতিল হয়ে গিয়েছিল। বাজারে এসেছিল ২ হাজার টাকার নোট। এটিএমের বাইরে দীর্ঘ লাইন সেই সময় এক অত্যন্ত স্বাভাবিক দৃশ্য হয়ে ওঠে। সব মিলিয়ে আকস্মিক ওই পদক্ষেপে আমজনতাকে অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছিল। সেই ঘোষণার সময় প্রধানমন্ত্রী দাবি করেছিলেন জাল নোটের কারবার বন্ধ করতেই এই পদক্ষেপ। বর্তমান পরিস্থিতিতে বিরোধীরা প্রশ্ন তুলছেন, তাহলে গুজরাটে এত জাল নোট কীভাবে এল! সমালোচনায় সরব হয়েছেন তাঁরা।