সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০১২ সালে হরিয়ানার ছাওয়ালা ধর্ষণ কাণ্ডে (Chhawla rape case) কেঁপে উঠেছিল দেশ। এক দশক পরে আসামিদের বেকসুর খালাস করেছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, উপযুক্ত প্রমাণের অভাবে মুক্তি দেওয়া হয়েছে দোষীদের। শুধুমাত্র সন্দেহের বশে তাঁদের মৃত্যদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। রায়দানের পরে নির্যাতিতার পরিবারের সদস্য ও বেশ কয়েকজন সমাজকর্মীকে বিক্ষোভ দেখাতে দেখা গিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট চত্বরে। সেই সঙ্গে মৃতা তরুণীর পরিবারের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, তারা হাল ছাড়তে রাজি নয়। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর্যালোচনা চাইবে তারা।
২০১২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে হরিয়ানার (Haryana) রিওয়ারি জেলায় একটি ফাঁকা মাঠে উদ্ধার হয় ১৯ বছরের তরুণীর বিকৃত দগ্ধ দেহ। তরুণীর পরিবারের দাবি, একদিন আগে অপহরণ করা হয় তাঁকে। অপহরণের করে ধর্ষণ করা হয়। পরে খুনে করে রিওয়ারির ওই ফাঁকা মাঠে ফেলে দেওয়া হয়। নৃশংস ঘটনায় অভিযুক্ত হন রবি কুমার, রাহুল এবং বিনোদ নামের তিন যুবক। ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে দিল্লির একটি আদালত অপহরণ, ধর্ষণ এবং হত্যার ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত করে তিন জনকে। আদালত তাদের মৃত্যুদণ্ড দেয়। দিল্লি হাই কোর্ট এই রায়কে সমর্থন করে। হাই কোর্ট মন্তব্য করে, দোষীরা ভয়ংকর ‘শিকারী’।
[আরও পড়ুন: মাঝরাতে কেঁপে উঠল নেপাল, ধস বিস্তীর্ণ এলাকায়, বাড়ি ভেঙে মৃত অন্তত ৬]
কিন্তু অভিযুক্তরা হাই কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সাজা কমানোর জন্য সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিলেন। অবশেষে সোমবার বেকসুর খালাস করে দেশের শীর্ষ আদালত।
কিন্তু এই রায় মানতে পারছে না নির্যাতিতার পরিবার। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে নিহত তরুণীর মায়ের দাবি, তাঁরা এর আগে আদালতের রায়ে ন্যায় পেয়েছিলেন। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের রায় তাঁদের কাছে একটা বড় ধাক্কা। এই রায়ে তাঁরা খুশি নন। তাঁর কথায়, ”১০ বছরের লড়াইয়ের পর আমাদের সঙ্গে যা হল তা ন্যায় নয়।” আর এখানেই প্রশ্ন উঠছে, সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়ে দেওয়ার পরে কী পথ খোলা থাকছে নির্যাতিতার পরিবারের জন্য?
আইন অনুযায়ী, শীর্ষ আদালত যদি কোনও মামলায় রায়দান করে তাহলে চাইলে সেই রায় পর্যালোচনার জন্য আবেদন করা যায়। তবে তা করতে হবে ৩০ দিনের মধ্যে। সেই সঙ্গে একটি শংসাপত্রও জমা দিতে হয়, যেখানে উল্লেখ থাকতে হবে এটাই এই রায়দানের পর্যালোচনার প্রথম আবেদন। পাশাপাশি আবেদনের সময় জানিয়ে দিতে হবে, কীসের ভিত্তিতে এই আরজি জানানো হচ্ছে।