সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর টোল প্লাজায় গাড়ি দাঁড় করিয়ে হাতে-হাতে টাকা দেওয়ার প্রয়োজন নেই। কারণ ১ জানুয়ারি থেকেই বাধ্যতামূলক হয়ে যাচ্ছে FASTag। বৃহস্পতিবার এমনটাই জানিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতীন গড়কড়ি।
২০১৬ সালে প্রথমবার ফ্যাসট্যাগের (FASTag) আত্মপ্রকাশ ঘটে। চারটি ব্যাংক মিলে প্রায় এক লক্ষ ফ্যাসট্যাগ গাড়ির মালিকদের হাতে তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিল। পরের বছরই সেই সংখ্যা বেড়ে সাত লক্ষে পৌঁছে যায়। ২০১৮ সালে ৩৪ লক্ষেরও বেশি ফ্যাসট্যাগ ইস্যু করা হয়। অনেকেই এটি টোল দেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যবহার করলে তা এখনও পর্যন্ত বাধ্যতামূলক হয়নি। যদিও অনেক আগেই কেন্দ্র তা বাধ্যতামূলক করার ভেঙে ছিল। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে তা নতুন করে পিছিয়ে গিয়েছিল। এদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়ে দেন, আগামী বছর ১ জানুয়ারি থেকে প্রতিটি চার-চাকা গাড়িতে FASTags-এর স্টিকারটি থাকতেই হবে। ২০১৭ সালের পয়লা ডিসেম্বরের আগে বিক্রি হওয়া গাড়িও এই তালিকার আওতাভুক্ত বলে স্পষ্ট করে দেন গড়কড়ি।
[আরও পড়ুন: গণধর্ষণের অভিযোগ জানাতে গিয়ে থানাতেই ধর্ষণের শিকার যুবতী! চাঞ্চল্য উত্তরপ্রদেশে]
কী এই FASTag? এতে একটি নির্দিষ্ট নম্বর দেওয়া থাকে যা দিয়ে আপনার গাড়িটি চিহ্নিত হয়। আর এর সঙ্গে যুক্ত থাকে আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর। টোল প্লাজায় টাকা দেওয়ার ক্ষেত্রে তাই নগদ লেনদেনের প্রয়োজন হয় না। ব্যাংক থেকে সরাসরি টোল ট্যাক্স কেটে নেওয়া হয়। ফ্যাসট্যাগের জন্য বরাদ্দ অর্থ শেষ হয়ে গেল ফের তা রিচার্জ করে নেওয়াও যায়। গতকাল বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সমস্ত লেনদেন ক্যাশলেস হিসেবে করানোর জন্য এটি একটি বড় পদক্ষেপ। এতে টোল প্লাজা অতিক্রম করতে সময়ও অনেকখানি বাঁচবে। সঙ্গে এও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ২০২১ সালের ১ এপ্রিল থেকে থার্ড পার্টি ইনসিওরেন্সের ক্ষেত্রেও ফ্যাসট্যাগ বাধ্যতামূলক। অর্থাৎ এবার FASTag না থাকলে যে টোল অতিক্রমের ক্ষেত্রে চার চাকা গাড়িকে নগদ অর্থও রক্ষা করতে পারবে না, তা বলাই বাহুল্য।