সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইতিহাস তৈরি হতে হতেও হল না। দেশের প্রথম রূপান্তরকামী ভোটপ্রার্থী (Transgender candidate) সরে দাঁড়ালেন নির্বাচন থেকে। কেরলের (Kerala) নির্বাচনে ‘ডেমোক্র্যাটিক সোশ্যাল জাস্টিস পার্টি’র হয়ে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন অনন্যা কুমারী অ্যালেক্স। কিন্তু শনিবারই তিনি জানিয়ে দিলেন প্রাণনাশের হুমকি ও কুৎসার মুখে পড়ে সরে দাঁড়াতে বাধ্য হচ্ছেন তিনি।
২৮ বছরের অনন্যা কেরলের প্রথম রেডিও জকি। সেই কারণে রীতিমতো খ্যাতিবান তিনি। সংবাদ পাঠিকার কাজও করেছেন। অন্যান্য পেশায় সাফল্যের সঙ্গে সামনের দিকে এগিয়ে গেলেও বাধ সাধল রাজনীতি। নাগাড়ে চলতে থাকা কুৎসার মোকাবিলা করতে না পেরে হতাশ হয়ে শেষ পর্যন্ত ভোটে না লড়ার সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি।
[আরও পড়ুন: টিউশন পড়তে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার ছাত্রী, বাড়ি ফিরে আত্মঘাতী হওয়ার অভিযোগ]
অভিমানী অনন্যার অভিযোগ, নিজের দলের মধ্যে থেকেই বাধা পেয়েছেন তিনি! সম্মুখীন হয়েছেন অনভিপ্রেত সমস্যার। সংবাদ সংস্থা এএনআইকে অনন্যা জানিয়েছেন, ”আমি সরে দাঁড়ালাম কেননা ‘ডেমোক্র্যাটিক সোশ্যাল জাস্টিস পার্টি’তেই যৌন হেনস্তা, লিঙ্গ বৈষম্য ও লাঞ্ছনার শিকার হতে হয়েছে আমাকে। ওরা আরও বেশি প্রচার পেতে আমাকে নিয়ে খেলতে চাইছিল। সেই কারণেই আমাকে সামনে রেখে নানা রকম পরিকল্পনাও করছিল।”
ঠিক কী ধরনের পরিকল্পনা? তাও জানিয়েছেন অনন্যা। তাঁর কথায়, ”ওরা আমাকে জোর করছিল বর্তমান সরকার সম্পর্কে খারাপ কথা বলতে। এমনকী, যে ভেঙ্গারা বিধানসভা কেন্দ্র থেকে আমি লড়ছি সেখানে আমার বিরোধী দলের প্রার্থী সম্পর্কেও কুৎসা ছড়াতে জোর করা হয়েছিল। তাছাড়া ওরা জোর করছিল, প্রচারে আমাকে বোরখা পরে থাকতে হবে। আমি এসব করতে চাইনি। এরপরই হুমকি দেওয়া শুরু হয় আমাকে ও আমার কেরিয়ারকে শেষ করে দেওয়া হবে।”
সদ্য ছেড়ে আসা দল সম্পর্কে অনন্যার পরিষ্কার আরজি, কেউ যেন ওদের ভোট না দেন। ভোটে জিতলে কেরলের রূপান্তরকামীদের সমানাধিকার দেওয়ার জন্য লড়াই করতেন বলে জানালেন অনন্যা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পিছু হটতে বাধ্য হলেন তিনি। সাফ জানিয়ে দিলেন, অনেক হয়েছে। আর রাজনীতির আঙিনায় দেখা যাবে না তাঁকে।