সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সাধারণতন্ত্র দিবসে প্রথমবার সেনাবাহিনীকে নেতৃত্ব দিলেন এক মহিলা অফিসার। অনন্য এই নজির গড়লেন হায়দরাবাদের মেয়ে লেফটেন্যান্ট ভাবানা কস্তুরী। জানালেন রাষ্ট্রপতিকে স্যালুট করার মুহূর্ত তাঁর সারাজীবন মনে থাকবে। ২৬ জানুয়ারি কুচকাওয়াজে আর্মি সার্ভিস কর্পসের জওয়ানদের নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি।
[‘একুশ শতক দুঃসময়’, সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে বিশ্বজনীন উদ্বেগ উস্তাদের কণ্ঠে]
ভাবানা বলেন, “দেশের সশস্ত্র বাহিনীর সুপ্রিম কম্যান্ডার, রাষ্ট্রপতিকে স্যালুট করার মুহূর্ত অসাধারণ ছিল। ওই সময়টুকু আমার আজীবন মনে থাকবে।” সাধারণতন্ত্র দিবসে ভাবানার স্যালুটের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। টুইটার ও ফেসবুকে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ শেয়ার করেন সেই ছবি। মুহূর্তের মধ্যে তা ভাইরাল হয়ে যায়। এরকম একটা সুযোগ পেয়ে গর্বিত ভাবানাও। তিনি জানালেন, ২৩ বছর পর রাজপথে সাধারণতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে অংশ নিল আর্মি সার্ভিস কর্পস। তাঁর আশা, এবার সেরা প্যারেড মার্চ হিসেবে এই টিমের হাতেই উঠবে পুরস্কার। ভাবানা বলেন, “প্যারেড মার্চ শেষ হওয়ার পর জওয়ানদের চোখমুখের অভিব্যক্তি দেখাটা আরও বড় পাওনা। একবছর কঠোর অনুশীলন সহজ কাজ নয়।”
[হাউ ইজ দ্য জোশ! প্রেক্ষাগৃহে ‘উরি’ দেখার পর স্লোগান প্রতিরক্ষামন্ত্রীর]
মেয়েদের কাছে কিছুই অসম্ভব নয়। তাঁর এই কীর্তি দেশের অসংখ্য মেয়েকে সাহস জোগাবে। তবে পরিবারকে সঙ্গে থাকতে হবে। সেটাও মনে করিয়ে দিলেন তিনি। ভাবানা বলেন, “আমার পরিবার সবসময় আমার সঙ্গে ছিল। সবসময় আমাকে সমর্থন করেছে। শুধু আমার সাফল্যে নয়, ব্যর্থতাতেও।” এবার সাধারণতন্ত্র দিবসে মহিলা সেনা অফিসাররা নজর কেড়েছেন। মহিলা ব্রিগেড আসাম রাইফেলস অংশ নিয়েছিল কুচকাওয়াজে। ক্যাপ্টেন শিখা সুরভী মোটরবাইকে দাঁড়িয়ে স্ট্যান্ডিং স্যালুট দিতে দেখা গিয়েছে। আর আসাম রাইফেলসকে নেতৃত্ব দিয়েছেন মেজর খুশবু কানওয়ার।