সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শ্বাস নেওয়ার উপায় নেই, অক্সিজেনের (Oxygen) সংকট। তাই মৃ্ত্যুর আগের মুহূর্তে পর্যন্তও একটু শ্বাস নেওয়ার চেষ্টাও বৃথা গিয়েছে। করোনার (Coronavirus) দ্বিতীয় ধাক্কায় দেশে স্রেফ অক্সিজেনের অভাব বহুজনের মৃ্ত্যু ত্বরান্বিত করছে। অমৃতসরের (Amritsar) হাসপাতালে অক্সিজেনের অভাব ৫ জনের করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। গত ৪৮ ঘণ্টা ধরে এই পরিস্থিতি সেখানকার। কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, সরকারি নীতি অনুযায়ী, সরকারি হাসপাতালে আগে অক্সিজেন সরবরাহ করা হচ্ছে। তারপর বেসরকারি হাসপাতালে অক্সিজেন প্রাপ্তির সুযোগ মিলছে। আর তাতেই সর্বনাশ যা ঘটার ঘটে যাচ্ছে। সামান্য অক্সিজেনের অভাবে প্রাণবায়ু নিভে যাচ্ছে কতশত মানুষের।
অমৃতসরের হাসপাতাল যখন অক্সিজেনের অভাবে রোগীমৃত্যুর কথা স্বীকার করে নিচ্ছে, সেসময় আরও ভয়াবহ ছবি উঠে আসছে দিল্লির (Delhi)হাসপাতালগুলি থেকে। কোথাও মাত্র ১২ ঘণ্টার জন্য অক্সিজেন মজুত রয়েছে, কেউ বা রোগী ফিরিয়ে দিচ্ছে অক্সিজেন নেই বলে। সরোজ হাসপাতাল যেমন স্পষ্টই জানাচ্ছে, অক্সিজেনেরে অভাব, ঝুঁকি না নিয়ে রোগীদের ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। বাত্রা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, মাত্র এক টন অক্সিজেন সিলিন্ডার পৌঁছেছে। তা ২৬০ জন রোগীর পক্ষে যথেষ্ট অপ্রতুল। তাই সংকট থেকেই যাচ্ছে। ফলে অক্সিজেনের অভাব সবচেয়ে প্রকট রাজধানী দিল্লিতে।
[আরও পড়ুন: দু’বারই করোনা মোকাবিলায় ব্যর্থ, ফের কেন্দ্রকে তীব্র আক্রমণ প্রশান্ত কিশোরের]
অবশ্য দিল্লিতে এই অক্সিজেন সংকটের জন্য কেজরি সরকারকেই দায়ী করছেন অনেকে। অভিযোগ, তিনবারের সরকারে ক্ষমতায় থেকেও অক্সিজেন প্লান্ট বসানোর দিকে এতটুকুও মন দেননি মুখ্যমন্ত্রী। ফলে দিল্লিতে যা অক্সিজেন প্রয়োজন, তার সবটাই বাইরে থেকে আনতে হয়। এই অবস্থায় যেখানে দেশজুড়েই করোনা সংকট প্রবল, সেখানে এত পরিমাণ অক্সিজেন আমদানি কার্যত অসম্ভব। আর সেটাই হচ্ছে দিল্লিতে। প্রয়োজন অনুযায়ী জোগান নেই। একটি হাসপাতালের তরফে জানানো হচ্ছে, তাদের প্রায় ২০০ জন রোগী সংকটাপন্ন। অথচ ভাঁড়ারে মাত্র আধণ্টার মতো অক্সিজেন সরবরাহ করার ক্ষমতা আছে। সবমিলিয়ে, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সঙ্গে যুঝতে গিয়ে সবচেয়ে বেশি প্রতিকূলতা তৈরি করছে অক্সিজেন সরবরাহের অপ্রতুলতা। যতক্ষণ শ্বাস, ততক্ষণ আশ – এর আর উপায় থাকছে না বস্তুত।