সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বৃহস্পতিবার লোকসভায় ভারতের অর্থনীতি নিয়ে শ্বেতপত্র (White Paper) পেশ করলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ (Nirmala Sitharaman)। ইউপিএ আমলের এক দশকে অর্থনৈতিক রূপরেখাই তুলে ধরা হয়েছে ওই পত্রে। সেখানে কেন্দ্র দাবি করেছে, ইউপিএ সরকার একটি সুস্থ অর্থনীতি হাতে পেলেও পরের দশ বছরে এটিকে অকার্যকর করে ফেলে। এদিকে ২০১৪ সালে মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার সময় ভঙ্গুর অর্থনীতি হাতে পেলেও দীর্ঘমেয়াদী আর্থিক বৃদ্ধির পরিস্থিতি তৈরি করেছে।
ঠিক কী বলা হয়েছে শ্বেতপত্রে? সেখানে কেন্দ্রের দাবি, ২০০৪ সালে যখন ইউপিএ সরকার ক্ষমতায় আসে তখন দেশের অর্থনীতির বৃদ্ধি ছিল ৮ শতাংশ। শিল্প ও পরিষেবা ক্ষেত্রে তা ছিল ৭ শতাংশ। কৃষিক্ষেত্রে তা ছিল ৯ শতাংশে। কিন্তু সেই পরিস্থিতির ফায়দা তুলতে ব্যর্থ কংগ্রেস। শ্বেতপত্রে দেখানো হয়েছে, ২০০৪ থেকে ২০১৪- এই এক দশকে গড় বার্ষিক মুদ্রাস্ফীতি ছিল ৮.২ শতাংশ। আর এই চড়া মুদ্রাস্ফীতি রুখতে ইউপিএ কোনও পদক্ষেপই করেনি বলে অভিযোগ কেন্দ্রের।
[আরও পড়ুন: দিল্লিতে মেট্রো স্টেশনের দেওয়াল ভেঙে মৃত্যু প্রৌঢ়ের, ঘটনায় বরখাস্ত ২ আধিকারিক]
এরই পাশাপাশি শ্বেতপত্রে বলা হয়েছে, বৃহত্তর অর্থনৈতিক কল্যাণের জন্য বহু কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছে এনডিএ সরকার। তৈরি করেছে শক্তিশালী পরিকাঠামো। এইভাবেই আগের দশ বছরে তৈরি হওয়া চ্যালেঞ্জগুলির মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছে মোদি সরকার।
এদিকে কেন্দ্র সরকারের শ্বেতপত্রের পালটা হিসেবে কৃষ্ণপত্র প্রকাশ করেছে কংগ্রেস। গত ১০ বছরকে অন্যায় কাল বলে আখ্যা দিয়ে মোদি সরকারকে কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে। যা নিয়ে কটাক্ষ করেছেন মোদি। কৃষ্ণপত্রের সঙ্গে কালো টিকার তুলনা টানেন তিনি।
[আরও পড়ুন: ‘রাজনীতি কেন, ইন্ডাস্ট্রিই ছেড়ে দেব’, দুর্নীতি ইস্যুতে বিস্ফোরক দেব]
প্রধানমন্ত্রীর মতে, বিজেপি সরকার যা কাজ করছে, তাতে নজর যাতে না লাগে, তারই যেন ব্যবস্থা করল কংগ্রেস। শতাব্দীপ্রাচীন দলটির পালটা খোঁচা,২০১৪ থেকে ২০২৪-এর মধ্যে আর্থিক দিক থেকে ধস নেমেছে দেশে। বেড়েছে বেকারত্ব। কৃষিক্ষেত্রেও একই হাল। মোদির আমলে দেশজুড়ে বেড়েছে অপরাধ। এনডিএ সরকারের জমানায় ভালো নেই মহিলা এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ও।