সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সোশাল মিডিয়ার জমানায় সহজ জনপ্রিয়তার লোভে রিলের নেশায় বুঁদ যুবসমাজ। সামান্য লাইকের আশায় বিপদের ঝুঁকি নিতেও পিছুপা হচ্ছেন না তাঁরা। এমনই সস্তার জনপ্রিয়তার লোভে স্টান্টবাজি করতে গিয়ে প্রথমবার প্রাণে বেঁচে গেলেও, দ্বিতীয় দফায় হাত-পা খুইয়ে বিকলাঙ্গ হলেন এক যুবক। সেই ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশাল মিডিয়ায়।
গত ১৪ জুলাই সোশাল মিডিয়াতে এক ভিডিও ব্যাপক ভাইরাল হয়। যেখানে দেখা যায়, এক যুবক চলন্ত ট্রেনের হাতল ধরে প্ল্যার্টফর্মের উপর দিয়ে স্লাইড করছে। প্ল্যার্টফর্ম শেষ হওয়ার ঠিক আগের মুহূর্তে ট্রেনের উপর লাফিয়ে উঠে পড়ে সে। ভিডিও প্রকাশ্যে আসার পর যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে তাঁর সন্ধানে নামে রেল পুলিশ। তদন্তে জানা যায়, অভিযুক্ত ওই যুবকের নাম ফরহত শেখ। সে মুম্বইয়ের বডালার এনটপ হিলের বাসিন্দা। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করতে তাঁর বাড়ি পৌঁছে চমকে যায় পুলিশ। দেখা যায় এই স্টান্টবাজি করতে গিয়ে হাত ও পা খুইয়ে বিকলাঙ্গ হয়ে বাড়িতে পড়ে রয়েছে অভিযুক্ত।
[আরও পড়ুন: আমেরিকায় ফের বন্দুকবাজের হামলা! পার্কের মধ্যে এলোপাথাড়ি গুলি মৃত ১, আহত ৬]
অভিযুক্ত যুবক পুলিশকে জানায়, এই ধরনের প্রথম স্টান্ট সে করেছিল মার্চ মাসে। নিজের এক বন্ধুকে এই ঘটনার ভিডিও করতে বলে সে, যাতে ভিডিওটি সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করা যায়। প্রথম দফায় কোনও সমস্যা হয়নি তাঁর। ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট হতে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায় সে। আর সেই নেশায় একমাস পর গত ১৪ এপ্রিল একইরকম স্টান্ট করে ভিডিও বানানোর চেষ্টা করে। তবে এবার বিপাকে পড়তে হয় তাঁকে। স্টেশনে পা পিছলে গুরুতর আহত হয় যুবক। রেল পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে দ্রুত হাসাপাতালে ভর্তি করে। সেখানেই ওই যুবকের প্রাণ বাঁচাতে গিয়ে তাঁর হাত ও পা কাটা পড়ে।
[আরও পড়ুন: মণিপুর সামলানোর রূপরেখা! দিল্লিতে মোদি-বিরেন বৈঠক ঘিরে জল্পনা]
পুলিশ ভাইরাল ভিডিওর সূত্র ধরে তাঁর বাড়িতে পৌঁছনোর পর পুলিশের সামনেই এক ভিডিও বার্তা দেন যুবক। যেখানে তিনি বলেন, সস্তার প্রচারের নেশায় এই ধরনের স্টান্ট যেন কেউ না করেন। সেন্ট্রাল রেলওয়ের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক স্বপ্নীল নীলা বলেন, এই ভিডিওটির পর এই ধরনের বিপজ্জনক স্টান্টকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর সতর্কতা জারি করতে হয়েছে। সেন্ট্রাল রেলের তরফে জানানো হয়েছে, কেউ ট্রেন বা প্ল্যাটফর্মে এই ধরনের স্টান্ট করছে নজরে পড়লে যেন 9004410735 বা 139 নম্বরে রিপোর্ট করেন।