সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাবা মুজিবর রহমানের যোগ্য উত্তরাধিকারী হিসেবে তিনি নানা প্রতিকূলতার সঙ্গে লড়াই করে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। শুধু ক্ষমতা, পদ নয়। বছরের পর বছর ধরে পেয়েছেন দেশবাসীর ভালবাসা। আর এবার তিনি নিজের পরবর্তী প্রজন্ম তৈরিতে মনোনিবেশ করেছেন। আন্তর্জাতিক স্তরে নিজের কন্যাকে পরিচিত করাতে উদ্যোগী হলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)। শুক্রবার দিল্লিতে জি-২০ (G-20 Summit)বৈঠকে যোগ দিতে এসেছেন মুজিবকন্যা। এমন গুরুত্বপূর্ণ সম্মেলনে সঙ্গী কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল এবং বোন শেখ রেহানা। শুধু দিল্লি সফরই নয়, এর আগে আসিয়ান (ASEAN) বৈঠক ও ব্রিকস (BRICS) সম্মেলনেও যোগ দিয়েছিলেন পুতুল। ওয়াকিবহাল মহলের মত, ছেলে রাজনীতিতে সক্রিয় হলেও সামগ্রিকভাবে মেয়েকেই উত্তরসূরী হিসেবে গড়ে তুলছেন শেখ হাসিনা।
শুক্রবার সন্ধে নাগাদ দিল্লি বিমানবন্দরে নামেন বাংলাদেশের (Bangladesh) প্রধানমন্ত্রী। সঙ্গে ছিলেন বোন শেখ রেহানা, যিনি ছোটবেলা থেকেই দিদির ছায়াসঙ্গী। এবং এবারের সফরে দেখা গেল আরও একজনকে। তিনি হাসিনার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল। তিনি কিন্তু রাজনীতির একেবারেই বাইরে। অটিজম নিয়ে কাজ পুতুলের। আন্তর্জাতিক স্তরে ব্যাপক কর্মকাণ্ডের জন্য বহুবার পুরস্কৃত হয়েছেন। এই কন্যাকেই এবার রাজনীতির ময়দানে নামালেন মুজিবকন্যা। সন্ধেবেলা মোদির বাসভবন অর্থাৎ ৭, লোককল্যাণ মার্গে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের সময় উপস্থিত ছিলেন পুতুল। গুরুত্বপূর্ণ আলোচনায় অংশ নেন তিনিও।
[আরও পড়ুন: ‘ভারতে স্বাগত’, জি-২০ সম্মেলনের অতিথিদের উষ্ণ অভ্যর্থনা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরের]
এর আগে জোহানেসবার্গে ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে হাসিনার সঙ্গী ছিলেন পুতুল। সেখানে আলাদা করে চিনা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকের সময়ও মায়ের সঙ্গে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। এছাড়া আসিয়ান সম্মেলনেও বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মহঃ শাহবুদ্দিন চুপ্পুর সঙ্গে ইন্দোনেশিয়া সফরেও গিয়েছিলেন হাসিনাকন্যা। এভাবেই আন্তর্জাতিক স্তরের একাধিক মঞ্চে মেয়েকে এগিয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। এর আগে অবশ্য হাসিনার উত্তরসূরী নিয়ে দলের অন্দরেই কৌতূহল দেখা গিয়েছে। তাতে হাসিনার বক্তব্য ছিল, ”আমার দুই সন্তান, বোনের তিন সন্তান। পাঁচজনই মানুষ হয়েছে। ওরাই আমাদের শক্তি।” এবার বোধহয় সেই প্রশ্নের উত্তর মিলল।