হেমন্ত মৈথিল, লখনউ: মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের নেতৃত্বে উত্তরপ্রদেশ সরকার রাজ্যকে বিনিয়োগের প্রধান গন্তব্য হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে। সেই লক্ষ্যেই দিল্লি-এনসিআর অঞ্চলে দ্রুত নতুন বিনিয়োগের কেন্দ্র হয়ে উঠেছে হাপুর। সম্প্রতি হাপুর-পিলখুয়া ডেভলপমেন্ট অথরিটি (এইচপিডিএ) আয়োজিত 'ইনভেস্ট ইন হাপুর সামিট ২০২৫'-এ হাপুরের এই সম্ভাবনা আরও স্পষ্ট হল।
এই সম্মেলনে মোট ১,৩০০ কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রস্তাব জমা পড়েছে। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন উত্তরপ্রদেশের অর্থমন্ত্রী সুরেশ কুমার খান্না। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর স্বচ্ছ নীতি, শক্তিশালী আইন-শৃঙ্খলা এবং বিনিয়োগ-বান্ধব পরিবেশের কারণে দিল্লি-এনসিআর অঞ্চলের উন্নয়ন দ্রুত হারে ঘটছে। তিনি জানান, হাপুর-এর মতো অঞ্চলগুলি এখন উন্নয়নের নতুন ইঞ্জিন হয়ে উঠেছে।
এইচপিডিএ-এর উপ-চেয়ারম্যান ড. নীতিন গৌর (আইএএস) জানান, এই প্রথমবার ডেভলপমেন্ট অথরিটি স্তরে বিনিয়োগ সম্মেলন করা হল। সম্মেলনে জানানো হয়, গত দু'বছরে এইচপিডিএ-এর মোট লাভ ১৭২ কোটি থেকে বেড়ে ৪৩৫ কোটি হয়েছে। ম্যাপ এবং বিভিন্ন অনুমোদন থেকে রাজস্ব ৫.৩ কোটি টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ২৬.৩২ কোটি টাকা।
হাপুর দিল্লি থেকে মাত্র ১৫ মিনিটের দূরত্বে অবস্থিত একটি উদীয়মান শিল্পকেন্দ্র। এখানে জাতীয় সড়ক-৯, দিল্লি-মিরাট এক্সপ্রেসওয়ে ও গঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের মাধ্যমে শক্তিশালী সড়ক সংযোগ রয়েছে। ফলে, সহজেই বিনিয়োগকারীদের নজর কেড়েছে হাপুর।
সম্মেলনে যশোধা গ্রুপ, ম্যাক্স, মেদান্তা হাসপাতাল, নিউট্রিমা, ভারতী-সহ একাধিক সংস্থা আগ্রহ দেখিয়েছে। যশোধা হসপিটাল গ্রুপ ৩০০ কোটি টাকা, অ্যাস্পায়ার ১৫০ কোটি, দিব্যাংশ গ্রুপ ২০০ কোটি এবং বিশাল ত্যাগী আইটি পার্কের জন্য ২০০ কোটি টাকা বিনিয়োগের প্রস্তাব এসেছে। 'ইজ অফ ডুয়িং বিজনেস' নিশ্চিত করতে বিনিয়োগকারীদের কাছে গ্রামের নাম সহ জমি সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য এই সামিটে তুলে ধরা হয়।
