সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘ভয়াবহ’ পর্যায়ে পৌঁছেছে দিল্লির বাতাস। সোমবার রাজধানীর বাতাসের গুণমান সূচক (একিউআই) ছিল ৪৫০-এর উপরে। মঙ্গলবার পরিস্থিতির সামান্য উন্নতি হলেও উদ্বেগ এখনও কাটেনি। এই পরিস্থিতিতে রাজধানীর দূষণ নিয়ে মুখ খুললেন দিল্লির পরিবেশ মন্ত্রী মনজিন্দর সিং সিরসা। ‘বিষ’ বাতাসের জন্য দিল্লিবাসীর কাছে ক্ষমা চাইলেও দূষণের জন্য পূর্ববর্তী আপ সরকারকেই দুষলেন তিনি।
মঙ্গলবার একটি সাংবাদিক সম্মেলনে মনজিন্দর বলেন, “দূষণ-যন্ত্রণার জন্য আমি দিল্লিবাসীর কাছে ক্ষমা চাইছি। তবে কোনও নির্বাচিত সরকারের পক্ষে ৯-১০ মাসের মধ্যে দূষণের মাত্রা সম্পূর্ণরূপে হ্রাস করা সম্ভব নয়। আমরা অসৎ আপ সরকারের চেয়ে ভালো কাজ করছি। বাতাসের গুণমান সূচক (একিউআই) ধীরে ধীরে কমিয়েছি। দূষণের এই রোগটি আপ সরকার আমাদের দিয়েছে। আমরা তা ঠিক করার জন্য কাজ করছি।” ক্ষমতায় আসার পর রাজধানীর বিজেপি সরকার দূষণ রোধে কী কী পদক্ষেপ করেছে সেগুলিও তিনি তুলে ধরেছেন। তাঁর কথায়, “দিল্লির বাইরের ব্যক্তিগত যানবাহন, যেগুলি BS-VI মানের নিচে, সেগুলির প্রবেশ রাজধানীতে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। দিল্লির মধ্যে নির্মাণ সামগ্রীর পরিবহনও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। যে সমস্ত শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলি দূষণ বাড়াচ্ছে, সেগুলিকে ৯ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে।” আপ সরকারকে নিশানা করে মনজিন্দর বলেন, “আপ তার শাসনকালে দিল্লির দূষণ থেকে দৃষ্টি ঘোরানোর চেষ্টা করেছে। যথাযথ পদক্ষেপ তারা করেনি।”
প্রসঙ্গত, দীপাবলির পর থেকেই বিষাক্ত হয়ে উঠেছে দিল্লির বাতাস। তাই ‘ক্লাউড সিডিং’-এর ব্যবস্থা করেছিল দিল্লি সরকার। সম্প্রতি তার ট্রায়ালও হয়। কিন্তু বৃষ্টি হয়েছে না-হওয়ার-মতো। অথচ ইতিমধ্যেই তিনটি ব্যর্থ ট্রায়াল বাবদ প্রায় ১.০৭ কোটি টাকা খরচ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু লাভের লাভ কিছু হয়নি। বরং লাফিয়ে বেড়েছে দূষণ। প্রাক্তন আইপিএস অফিসার ও বিজেপি নেত্রী কিরণ বেদি কয়েকদিন আগেই দাবি করেন, রাজধানীর বর্তমান পরিস্থিতি কোভিডের সঙ্গে তুলনীয়! এহেন পরিস্থিতিতে দূষণ যে শিশু ও বর্ষীয়ানদের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে, সতর্ক করছেন বিশেষজ্ঞরা। অনেকেরই চোখজ্বালা ও ক্রমাগত কাশির উপসর্গ রয়েছে। জল স্প্রে করে দূষণকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে প্রশাসন। কিন্তু পরিস্থিতির উন্নতি আর হচ্ছে না।
