ঋষিকেশের এই গ্রামে বহু হিন্দু বাড়িতে ছিল মাজার, এখন ভাঙা পড়ছে, কেন?  

05:46 PM Sep 18, 2023 |
Advertisement

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির আদর্শ উদাহরণ ঋষিকেশের (Rishikesh) ভাট্টোওয়ালা এবং ঘুমানিওয়ালা গ্রাম। সেখানে গত কয়েক দশকে বহু হিন্দু বাড়িতে গড়ে উঠেছিল পবিত্র মাজার। যদিও সম্প্রতি সেই মাজারগুলো ভেঙে ফেলতে শুরু করেছে পরিবারগুলো। নেপথ্যে উত্তরাখণ্ড (Uttarakhand) রাজ্য সরকারের নির্দেশ। যার ভিত্তিতে চলতি বছরে বহু মাজার বুলডোজারে গুড়িয়ে দিয়েছে প্রশাসন। কিন্তু হিন্দু বাড়িতে মাজার এল কীভাবে?

Advertisement

টাইমস অফ ইন্ডিয়ার দাবি, গত ১৫-২০ বছরে গড়ে উঠেছিল ওই মাজারগুলি। ভাট্টোওয়ালা এবং ঘুমানিওয়ালার গ্রামের অধিকাংশ পরিবার বাড়িতে মাজার তৈরি করেন। সকলের ক্ষেত্রেই কারণ এক। খারাপ সময়ে স্থানীয় এক পীরবাবার দ্বারস্থ হয়েছিলেন তাঁরা, ফকিরের আশীর্বাদে অনেকেই উপকৃত হয়েছিলেন। পীরবাবা পরামর্শ দেন, বাড়িতে একটি মাজার তৈরি করলে পরিবারের সদস্যদের মঙ্গল হবে। এর পর অধিকাংশ গ্রামবাসী ওই ফকিরের নির্দেশ পালন করেন।

[আরও পড়ুন: মোবাইল চুরি করেছে, সন্দেহে বন্ধুকে গুলি করে খুন যুবকের!]

যদিও গত কয়েক সপ্তাহে এমন ৩৫টি পরিবারের মধ্যে কমপক্ষে ৯টি পরিবার বাড়িতে তৈরি মাজার ভেঙে ফেলেছে। বাকিরাও সেই পথে বলেই জানা গিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা গিরিশ নেদওয়াল বলেন, “মায়ের দাবিতে মাজার নির্মাণ করেছিলাম। কুড়ি বছর আগে আমি অসুস্থ হওয়ায় পীরবাবার দ্বারস্থ হয়েছিল মা।” ওই যুক্তহীন বিশ্বাসকে এবার ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন গিরিশ। সকলের বক্তব্য প্রায় এক ধরনের। স্থানীয়দের দাবি, গত চার বছরে আর কেউ পীরবাবার কাছে যান না। প্রশ্ন উঠছে, তার পিছনে কি গোটা দেশের ধর্মীয় পরিস্থিতি?

গ্রামপ্রধান হরপাল সিং রানা জানান, গ্রামের সকলেই হিন্দু। তারই বাড়িতে মাজার তৈরি করেছিলেন। এখন ভেঙে ফেলতে শুরু করেছেন। স্থানীয় পুলিশ আধিকারিকের বক্তব্য, মাজারগুলো নিজেদের জমিতে তৈরি করেছিল পরিবারগুলো। সরকার ব্যবস্থা নিচ্ছে বেআইনিভাবে সরকারি জমিতে তৈরি ধর্মীয়স্থানগুলোর বিরুদ্ধে। এই বিষয়টি একান্তই ব্যক্তিগত। এই বিষয়ে প্রশাসনের কোনও বক্তব্য থাকতে পারে না। যদিও স্থানীয়দের একাংশের বক্তব্য, গত কয়েক বছরে সরকার যে আবহাওয়া তৈরি করেছে রাজ্যে, তার জেরেই ভাঙা পড়ছে হিন্দু-মুসিলম ঐক্যের নিদর্শন পীর, ফকিরের মাজার।

Advertising
Advertising

Advertisement
Next