সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিবাহ বিচ্ছেদের আগে যদি কোনও মহিলা স্বামীর বাড়ি ত্যাগ করেন, সেক্ষেত্রে তিনি পরবর্তীকালে নারী সুরক্ষার অধীনে সেই বাড়িতে বসবাসের অধিকার দাবি করতে পারবেন না। ‘প্রোটেকশন অফ উইমেন ফ্রম ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স অ্যাক্ট, ২০০৫’ আইনের আওতায়, এমনকী বিবাহবিচ্ছেদের ডিক্রির বিরুদ্ধে তঁার আবেদন যদি মুলতুবি থাকে তাহলেও অধিকার দাবি করতে পারেন না সেই মহিলা। বম্বে হাই কোর্টের (Bombay High Court) ঔরঙ্গাবাদ বেঞ্চ এমনই রায় দিয়েছে।
বস্তুত, এক দম্পতির দায়ের করা মামলার সূত্র ধরেই এই নিদান। ২০১৫ সালের ১০ জুন তঁাদের বিয়ে হয়। কিন্তু তার কয়েক মাস পরই হয় সমস্যার সূত্রপাত। স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা দাবি করেন, স্ত্রীর স্বভাব অত্যন্ত রূঢ় এবং সে নিজে থেকেই শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছে। ওই মহিলা পরে গার্হস্থ্য হিংসা আইনের আওতায় ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে মামলা দায়ের করেন। আদালত তঁার আবেদন মেনে স্বামীকে খোরপোশ-সহ বাড়ি ভাড়া দিতে নির্দেশ দেয়। মহিলাকে স্বামীর বাড়িতে থাকার অধিকারও প্রদান করে। কিন্তু এই রায়ের বিরুদ্ধে পালটা হাই কোর্টে যান স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা।
[আরও পড়ুন: দুর্গাপুজোকে ইউনেস্কোর স্বীকৃতি: ‘মোদি সরকার ধন্যবাদটুকুও জানায়নি’, আক্ষেপ তপতী গুহঠাকুরতার]
মহিলার স্বামীর আইনজীবী হাই কোর্টের বিচারপতি সন্দীপকুমার মোরের সিঙ্গল বেঞ্চে জানায়, বিবাহবিচ্ছেদের আগেই ওই মহিলা স্বামীর ঘর ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন। তাই তিনি সেখানে বসবাসের অধিকার দাবি করতে পারেন না। প্রসঙ্গত, নিম্ন আদালতে স্বামীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ সম্পন্ন হয়ে গিয়েছিল ওই মহিলার।
পরবর্তীকালে ওই মহিলা বিবাহবিচ্ছেদের বিরুদ্ধে আবেদন করেন। মহিলার আইনজীবী আদালতকে জানান, বিবাহবিচ্ছেদের ডিক্রির বিরুদ্ধে আবেদনের মামলাটি এখন মুলতুবি রয়েছে। তাই তঁার মক্কেলের স্বামীর ঘরে বসবাসের অধিকারও রয়েছে। এরপরই বম্বে হাই কোর্ট ঘোষণা করে, গার্হস্থ্য হিংসা আইনের ১৭ নম্বর ধারা অনুযায়ী, মহিলার স্বামীর বসবাসের অধিকার রয়েছে ঠিকই, তবে ওই মহিলা যেহেতু বিবাহবিচ্ছেদের আগে ঘর ছেড়ে গিয়েছিলেন তাই তিনি আর সেখানে বসবাসের সুযোগ পাবেন না।