সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিজেপির প্রার্থীতালিকা থেকে বাদ পড়ার পর প্রথম মুখ খুললেন লালকৃষ্ণ আডবাণী। আর শুধু মুখ খুললেন না, ঘুরিয়ে নিজের দলের অনুজপ্রতিম অথচ দলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের বার্তা দিয়ে গেলেন বিজেপির লৌহপুরুষ। বললেন, দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে বিরোধীদের শুধু বিরোধীই ভেবেছি, কখনও দেশদ্রোহী ভাবিনি। বিজেপি চিরদিনই বিরোধীদের সম্মান করে আসছে।
[আরও পড়ুন: উত্তর-পূর্বে জোটে স্বস্তি বিজেপির, গেরুয়া শিবিরকে ফের সমর্থন কনরাড সাংমার]
গান্ধীনগর থেকে এবছর আডবাণীর পরিবর্তে অমিত শাহকে প্রার্থী করেছে বিজেপ। তারপরই শোনা যাচ্ছিল দলের সিদ্ধান্তে নাকি প্রবীণ এই রাজনীতিক বেশ ক্ষুব্ধ। তাঁর ঘনিষ্ঠমহলে কান পাতলে সেই ক্ষোভের কথা শোনাও যাচ্ছিল। কিন্তু প্রকাশ্যে মুখ খোলেননি আডবাণী। বৃহস্পতিবার প্রথমবার মুখ খুললেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় দলের কর্মীদের বার্তা দিলেন। নিজের প্রার্থীপদ নিয়ে সরাসরি কিছু না বললেও আডবাণীর ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য। “আমার কাছে দেশ সবার আগে, দল তারপর এবং ব্যক্তি স্বার্থ সবার পরে।” আডবাণীর এই কথা কিছুটা স্বস্তি দিয়েছিল বিজেপি নেতৃত্বকে।
কিন্তু এরপরই দলের বর্তমান নীতিকে কাঠগড়ায় তোলেন আডবাণী। ঘুরিয়ে তাঁর বার্তা, “দলের অভ্যন্তরে এবং বৃহত্তর স্তরে গণতন্ত্র রক্ষা করা শুরু থেকেই বিজেপির নীতি। যারা বিরোধীদের বিজেপি কখনই শত্রু বলে মনে করে না। তাঁরা শুধুই আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বী। আমাদের জাতীয়তাবাদ মানে এই নয়, যে বা যাঁরা আমাদের মতে বিশ্বাস করে না, তাঁরা সবাই দেশদ্রোহী। বিজেপি সবসময় অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দিতে পছন্দ করে।” রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আসলে এই ব্লগের মাধ্যমে নিজের দলকেই সহিষ্ণুতার পাঠ দিলেন আডবাণী। দলের বর্তমান নেতৃত্বের প্রতি তাঁর ক্ষোভেরও বহিঃপ্রকাশ ঘটল এই ব্লগের মাধ্যমে।
[আরও পড়ুন: Google-এর বিজ্ঞাপনে ফের শীর্ষে বিজেপি, ধারে কাছে নেই কংগ্রেস]
রাজনৈতিক জীবনের সায়াহ্নে এসে আডবাণী মোদি-অমিত শাহদের উদ্দেশে যে সহবত শিক্ষা দিলেন, তা অবশ্য বেশ পছন্দ হয়েছে তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তিনি প্রায় সঙ্গে সঙ্গে টুইট করে বলেন, আডবাণীজির মতো বর্ষীয়ান রাজনীতিক যখন কোনও মতপ্রকাশ করেন তখন তা আলাদা তাৎপর্য রাখে। আমরা ওনার মতকে স্বাগত জানাই। এবং ওনাকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করতে চাই।”
The post বিরোধী মানেই দেশদ্রোহী নয়, ঘুরিয়ে বিজেপিকে সহিষ্ণুতার বার্তা দিলেন লৌহপুরুষ appeared first on Sangbad Pratidin.