সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: হিন্ডেনবার্গ মামলায় (Hindenburg Case) কার্যত স্বস্তিতে গৌতম আদানি। বুধবার এই মামলার রায় ঘোষণা করে সুপ্রিম কোর্ট। জানিয়ে দেওয়া হয়, সিটের তদন্তের প্রয়োজন নেই। এই মামলায় SEBI-র তদন্তের উপরই ভরসা রাখার নির্দেশ শীর্ষ আদালতের। এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন গৌতম আদানি।
গত বছর জানুয়ারিতে মার্কিন শর্টসেলার সংস্থা দাবি করে, নিজেদের ফায়দার জন্য নানাভাবে ভারতের বাজার প্রভাবিত করছে আদানিরা। মোদি জমানায় আদানি গোষ্ঠীর উত্থানে বড়সড় দুর্নীতির ইঙ্গিত দেয় হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ। ওই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসতেই হু হু করতে পড়তে থাকে আদানিদের শেয়ারের দাম। হিন্ডেনবার্গের রিপোর্টেই বলা ছিল, এর জেরে আদানি গোষ্ঠীর ৮৫ শতাংশ পর্যন্ত ক্ষতি হতে পারে। শেষ পর্যন্ত সেই পূর্বাভাস মিলেও যায়। আদানি গোষ্ঠীর (Adani Group) নথিভুক্ত সাতটি কোম্পানির মধ্যে সবচেয়ে বড় সংস্থা আদানি টোটাল গ্যাস লিমিটেডের ৮৫ শতাংশ সম্পদ রাতারাতি উবে যায় বাজার থেকে। এই নিয়ে শুরু হয় রাজনীতিও। মোদি-আদানি আঁতাঁতের অভিযোগ তুলে দেশজুড়ে বিক্ষোভ শুরু করে বিরোধীরা। সেই প্রেক্ষিতে দায়ের হয়েছিল জনস্বার্থ মামলাও।
[আরও পড়ুন: লোকসভা নির্বাচনের আগেই দেশজুড়ে চালু হবে CAA! সূত্রের দাবিতে শোরগোল]
বিনিয়োগকারীদের আস্থার বিষয়টি খতিয়ে দেখতে গত মার্চে সুপ্রিম নির্দেশে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি তৈরি হয়। গত নভেম্বরে সমস্ত শুনানি শেষ হয়। আর এদিনের রায়ের দিকেই নজর ছিল গোটা দেশের। তাতেই প্রধান বিচারপতি জানিয়ে দিলেন এই মামলায় SEBI-র থেকে তদন্তভার সরিয়ে নেওয়ার কোনও ভিত্তি নেই।
এদিন শীর্ষ আদালত আরও জানায়, ২২টি বিষয়ের মধ্যে ২০টি তদন্তই শেষ করেছে সেবি। বাকি দুই তদন্ত আগামী তিন মাসের মধ্যে শেষ করতে বলা হয়েছে। তাই এখনই SIT গঠন করে SEBI-র হাত থেকে তদন্তভার স্থানান্তর করার কোনও কারণ নেই। এই রায়ের পর কার্যত স্বস্তির সুর গৌতম আদানির গলায়। তিনি বলছেন, “সত্যের জয় হয়েছে। যাঁরা আমাদের পাশে ছিলেন, তাঁদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। এভাবেই ভারতের উন্নয়নের কাজ চালিয়ে যাব।”