সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লাদাখ (Ladakh) সীমান্তে মুখোমুখি ভারত ও চিনের সেনাবাহিনী। কার্যত বারুদের স্তূপের উপর রয়েছে গোটা অঞ্চল। সামান্য স্ফুলিঙ্গে ঘটতে পারে প্রবল বিস্ফোরণ। তাই পরিস্থিতি সামাল দিতে এপর্যন্ত ৮ দফা সামরিক বৈঠক হয়ে গিয়েছে দু’দেশের মধ্যে। আর সেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে আবার বৈঠক করতে হবে। অর্থাৎ, আলোচনার নিট ফল শূন্য।
[আরও পড়ুন: ভিয়েনায় জেহাদি হামলার জের, মসজিদ বন্ধ করছে অস্ট্রিয়ার সরকার]
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, নভেম্বরের ৬ তারিখ চুশুল বর্ডার পয়েন্টে অষ্টম দফার কোর কমান্ডার স্তরের বৈঠক হয় ভারত ও চিনের সেনাবাহিনীর মধ্যে। সরকারের দাবি, বৈঠকে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে দুই পক্ষের মধ্যে গঠনমূলক ও গভীর আলোচনা হয়েছে। সামরিক ও কূটনৈতিক স্তরে আলোচনা ও যোগাযোগ বজায় রাখতে রাজি হয়েছে দুই দেশ। যৌথভাব সীমান্তে শান্তি বজায় রাখতেও সহমত হয়েছে দু’পক্ষ। এছাড়া, আগামীদিনে আরও একদফা বৈঠক করবে চিন (China) ও ভারত (India)। এদিকে, এনিয়ে ৮ দফা সামরিক বৈঠক হয়ে গেলেও লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর পরিস্থিতিতে কোন পরিবর্তন আসেনি। দেপসাং প্লেন, দৌলত বেগ ওলডি, প্যাংগং হ্রদের ফিঙ্গার পয়েন্টে একভাবে উপস্থিত রয়েছে লালফৌজ। শুধু তাই নয়, ফিঙ্গার ৪-এর কাছে পরিকাঠামো তৈরি করছে চিনা বাহিনী।
গত অক্টোবর মাসে, চুশুল-মলডো সীমান্তে ভারতের দিকে বর্ডার মিটিং পয়েন্টে শুরু হয় দু’পক্ষের বৈঠক। সেবার প্রায় ১১ ঘণ্টা ধরে আলোচনা চলার পর বৈঠক শেষ হয় রাত ১১.৩০ নাগাদ। কোর কমান্ডার স্তরের ওই বৈঠকে ভারতের হয়ে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় ফৌজের ১৪ কোরের বিদায়ী কমান্ডার হরিন্দর সিং ও নয়া দায়িত্বপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল পি জি কে মেনন ও বিদেশমন্ত্রকের যুগ্মসচিব নবীন শ্রীবাস্তব। চিনা ফৌজের তরফে প্রতিনিধিত্ব করেন সাউথ জিনজিয়াং মিলিটারি ডিস্ট্রিক্টের দায়িত্বপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল লিউ লিন। সেবার প্রথম চিনা বিদেশমন্ত্রকের তরফেও প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন বৈঠকে। ফলে সংঘাত মেটার স দেখা দিয়েছিল। কিন্তু সে গুড়ে বালি। সাম্প্রতিক বৈঠকেও সেন সরানো ও সীমান্তে যৌথ পর্যবেক্ষণ ও সীমা নির্ধারণ নিয়ে একমত হতে পারেনি দুই দেশ। ফলে কূটনৈতিক সৌজন্য রক্ষা করে কিছু নির্দিষ্ট গতানুগতিক বয়ান ছাড়া এই বৈঠকের নিট ফল শূন্য বলেই মনেই করছেন বিশ্লেষকরা।