সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নাগরিকপঞ্জি ইস্যুতে যখন জাতীয় রাজনীতি উত্তাল, তখন বিতর্কের মাত্রা একধাপ বাড়িয়ে দিলেন লেখিকা তসলিমা নাসরিন৷ তাঁর দাবি, ভারতে যথেষ্ট সংখ্যক মুসলিম অধিবাসী আছেন৷ প্রতিবেশী দেশের মুসলিমের আর দরকার নেই৷ তবে এখানেই ক্ষান্ত হননি তিনি৷ তাঁর বক্তব্য, দেশের দরকার না থাকলেও, দেশের রাজনীতিবিদদের এই মুসলিমদের দরকার আছে৷
[ অসমে বাধার মুখে তৃণমূল, শিলচর বিমানবন্দরে আটকানো হল প্রতিনিধিদের ]
দেশে বিভিন্ন সময় নেতাদের বিরুদ্ধে মুসলিম তোষণের অভিযোগ উঠেছে৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এ প্রশ্নের মুখে পড়েছেন৷ জবাবে প্রতিবারই তিনি জানিয়েছেন, রাজ্যে হিন্দু-মুসলিম সকলকে সঙ্গে নিয়ে চলাই তাঁর সংস্কৃতি৷ তিনি কাউকে আলাদা ভাবেন না৷ বরং হিন্দু-মুসলিম বিভাজন করে সনাতন ভারতের সংস্কৃতি নষ্ট করছে, বিজেপির বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তোলেন মমতা৷ সম্প্রতি অসমে নাগরিকপঞ্জির চূড়ান্ত খসড়া প্রকাশিত হয়েছে৷ যেখানে বাদ গিয়েছে প্রায় ৪০ লক্ষ মানুষের নাম৷ দেশ থেকে বিদেশি বিশেষত বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করাই এই নাগরিকপঞ্জির উদ্দেশ্য৷ কিন্তু ঘটনাচক্রে বাদ পড়া মানুষদের গরিষ্ঠসংখ্যকই মুসলিম বাংলাভাষী মানুষ৷ এই কারণেই ধর্মের ভিত্তিতে বিভাজনের অভিযোগ তুলেছেন মমতা বন্দ্যেপাধ্যায়৷ একই দাবি করছেন বিএসপি নেত্রী মায়াবতীও৷ তাঁরও দাবি বিজেপি টার্গেট করে সংখ্যালঘুদের একঘরে করার চেষ্টা করছে৷
[ অসমে আগুন জ্বালানোর অধিকার নেই তৃণমূলের, বিস্ফোরক দিলীপ ]
এনআরসি-র কথা সরাসরি উল্লেখ না করলেও তসলিমা টুইট করে জানিয়েছেন, ভারতে যথেষ্ট সংখ্যক মুসলিম নাগরিক আছেন৷ প্রতিবেশী দেশের মুসলিমদের আর এখানে দরকার নেই৷ তবে তাঁর অভিমত সমস্যা অন্য জায়গায়৷ দেশে আর মুসলিমদের দরকার না থাকলেও রাজনীতিবিদদের তাঁদের দরকার আছে৷ অর্থাৎ ঘুরিয়ে দেশের রাজনীতিতে মুসলিম তোষণের অভিযোগই খুঁচিয়ে দিয়েছেন লেখিকা৷ ঘটনাচক্রে বিজেপিও তৃণমূল ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে এই ভোটব্যাংকের রাজনীতিরই অভিযোগ এনেছে৷ সেই বিতর্কই টুইটে খুঁচিয়ে দিলেন লেখিকা৷
The post ‘ভারতে আর অতিরিক্ত মুসলিমের দরকার নেই, কিন্তু নেতাদের তাঁদের প্রয়োজন’ appeared first on Sangbad Pratidin.