সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লাদাখ সীমান্তে চিনের সঙ্গে আরও বাড়তে পারে সংঘাত। ২০২০ সালের মতো সংঘর্ষের আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। লাদাখ পুলিশের (Ladakh Police) রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য। সংবাদসংস্থা রয়টার্সের দাবি অনুযায়ী লাদাখের পরিস্থিতি এমন একটা দিকে বাঁক নিচ্ছে যে, ২০২০ সালের গালওয়ানের মতো আরও সংঘর্ষ হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
সম্প্রতি লে এবং লাদাখের পুলিশ সুপার পি ডি নিত্য (PD Nitya) লাদাখের বাস্তব পরিস্থিতি নিয়ে দিল্লিকে একটি রিপোর্ট দিয়েছেন। যাতে দাবি করা হয়েছে, ২০২০ সালে গালওয়ানে যেভাবে ২০ জন ভারতীয় জওয়ানকে শহিদ হতে হয়েছিল, ঠিক একই ধাঁচের সংঘর্ষ আরও হতে পারে। পিডি নিত্যা তাঁর রিপোর্টে জানিয়েছেন, লাদাখ (Ladakh) ফ্রন্টিয়ারে মোট ৬৫টি পেট্রোলিং পয়েন্টের মধ্যে ২৬টি পয়েন্টের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছে ভারত। লে ও লাদাখের পুলিশ আধিকারিকের রিপোর্ট অনুযায়ী, সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হল চিন এই এলাকাগুলিতে এখনও পেট্রোলিং করছে। এবং দাবি করছে এই পেট্রোলিং পয়েন্টগুলি তাঁদের দখলে।
[আরও পড়ুন: যাত্রীবাহী ট্রেনেই আগ্নেয়াস্ত্র পাচার, পূর্ব বর্ধমানে উদ্ধার ৩৫ পিস্তল]
লাদাখের ওই পুলিশ আধিকারিক নিজের রিপোর্ট পেশ করেছেন দিল্লিতে দেশের শীর্ষ পুলিশ আধিকারিকদের বার্ষিক সমাবেশে। তাতে আবার উপস্থিত ছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালও (Ajit Doval)। ওই রিপোর্টেই নাকি বলা হয়েছে লাদাখের একাধিক জায়গায় চিনের সঙ্গে যুদ্ধের আবহ তৈরি হয়েছে। লাদাখের ওই পুলিশকর্তার রিপোর্টকে হাতিয়ার করে সরকারকে আক্রমণ করেছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। তাঁর অভিযোগ ছিল, ভারত চিনের কাছে লাগাতার জমি হারাচ্ছে। অথচ সরকার নির্বিকার।
[আরও পড়ুন: আর্থিক সংকট মেটাতে IMF’র শর্ত মানলে পাকিস্তানে দাঙ্গা বাঁধবে! আশঙ্কা পাক মন্ত্রীর]
যদিও বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর (S Jaishankar) রাহুলের সেই দাবি নস্যাত করে দিয়ে পালটা তাঁকে কটাক্ষ করছেন। জয়শংকরের দাবি, “অনেক সময় ওরা ইচ্ছা করে ভুল খবর ছড়ায়। এমন ভাব করছে যেন সদ্যই ভারত চিনের কাছে জমি হারিয়েছে। কিন্তু আসলে এটা ঘটেছে সেই ১৯৬২ সালে। কিন্তু ওরা সেটা নিয়ে কথা বলবে না।” রাহুলের (Rahul Gandhi) চিনা রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক করা নিয়েও এদিন খোঁচা দিয়েছেন জয়শংকর। বিদেশমন্ত্রী বলছেন, চিন নিয়ে কিছু জানতে চাইলে সেনার কাছে যান। চিনা রাষ্ট্রদূতের কাছে যাবেন না।