সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতের সার্বভৌমত্বকে লাগাতার চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে চিন। নয়াদিল্লির উদ্বেগ উসকে ভারত মহাসাগরে ক্রমে আগ্রাসী হয়ে উঠছে ‘ড্রাগন’। দক্ষিণ চিন সাগরে কৃত্রিম দ্বীপে সামরিক ঘাঁটি তৈরি করছে তারা। ফলে বিপন্ন হচ্ছে ‘ওপেন ট্রেড রুট’ বা মুক্ত বাণিজ্যপথ। এহেন পরিস্থিতিতে ভিয়েতনামকে রণতরী উপহার দিল ভারত।
সোমবার রাজধানী দিল্লিতে ভিয়েতনামের (Vietnam) প্রতিরক্ষা মন্ত্রী জেনারেল ফ্যান ভ্যান গ্যাংয়ের সঙ্গে বৈঠকে বসেন রাজনাথ সিং। সেখানেই ‘বন্ধু’ দেশটিকে একটি রণতরী উহপার দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী। আইএনএস কিরপান নামের ওই মিসাইল কর্ভেটটি সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি করেছে ভারত। এদিন বৈঠক শেষে এক যৌথ বিবৃতিতে দু’দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বলেন, “প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ও সাগর সংক্রান্ত বিষয়ে সহযোগিতা আরও বাড়িয়ে তুলবে দুই দেশ।
[আরও পড়ুন: সংঘাত না সহযোগিতা? ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে বৈঠকের পর আমেরিকাকে প্রশ্ন চিনা বিদেশমন্ত্রীর]
রবিবার দুদিনের ভারত সফরে আসেন ভিয়েতনামের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী জেনারেল ফ্যান ভ্যান গ্যাং। দক্ষিণ চিন সাগরে লালফৌজেক আগ্রাসনের মুখে এই সফর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রসঙ্গত, দক্ষিণ চিন সাগরের প্রায় গোটাটাই নিজেদের বলে দাবি করে চিন। ২০২০ সালে দক্ষিণ চিন সাগরের বিতর্কিত প্যারাসেল দ্বীপপুঞ্জের সর্ববৃহৎ দ্বীপ উডি আইল্যান্ডে চিনা ফৌজের যুদ্ধবিমান মোতায়েনের জেরে বেজিং-হ্যানয় উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল। তার আগে ২০১৪ সালে চিনের একটি খনিজ উত্তোলনকারী জাহাজ ভিয়েতনামের জলসীমায় ঢুকে খনন শুরু করায় দু’দেশের মধ্যে সঙ্ঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল ।
উল্লেখ্য, চিনকে ঠেকাতে ও অস্ত্রের বাজারে ছাপ ফেলতে ফিলিপিন্সের কাছে সুপারসনিক ব্রহ্মস ক্রুজ মিসাইল রপ্তানি করতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে ভারত। এছাড়া, ব্রহ্মস রপ্তানির তালিকায় রয়েছে ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম, সংযুক্ত আরব আমিরশাহী, সৌদি আরব ও দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দেশ। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলিকে নিয়ে তৈরি আসিয়ান গোষ্ঠীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ভিয়েতমান। ফলে হ্যানই-দিল্লি যুগলবন্দিতে বেজিংয়ের চিন্তা বাড়বে।