সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যে দুদিনের রাশিয়া (Russia) সফর সেরে অস্ট্রিয়ায় (Austria) পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। প্রায় ৪১ বছর পর প্রথম ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী হিসাবে অস্ট্রিয়ায় পৌঁছে বিশ্ব শান্তির বার্তা দিলেন তিনি। মোদি বলেন, "যুদ্ধ নয়, এই পৃথিবীকে বুদ্ধ দিয়েছে ভারত।" শান্তি ও সমৃদ্ধিই যে ভারতীয় সভ্যতার মূলগত চরিত্র সে কথা মনে করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিন ভিয়েনায় প্রবাসী ভারতীয়দের সমাবেশে অংশ নেন মোদি। সেখানে নিজের ভাষণে বলেন, ভারত বর্তমানে সেরা, উজ্জ্বলতম, বৃহত্তম অর্জন তথা সর্বোচ্চ মাইলফলকের লক্ষ্য কাজ করছে। মোদির বক্তব্য, "বিগত হাজার বছর ধরে আমরা বিশ্বকে জ্ঞান এবং দক্ষতা বিলিয়েছি। যুদ্ধ দিইনি, আমরা বিশ্বকে একজন 'বুদ্ধ' দিয়েছি। ভারত সর্বদা শান্তি ও সমৃদ্ধি দিয়েছে। একুশ শতকেও নিজেকে আরও শক্তিশালী করে গড়ে তুলছে ভারত।" ঐতিহাসিক অস্ট্রিয়া সফর নিয়ে মোদির মন্তব্য, "এই দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটল এক ঐতিহাসিক অনুষ্ঠানে। ভারত এবং অস্ট্রিয়া তাদের বন্ধুত্বের ৭৫ বছর উদযাপন করছে।"
[আরও পড়ুন: পাতালপথে জলযন্ত্রণা রোখাই বড় চ্যালেঞ্জ, বর্ষায় কী পদক্ষেপ কলকাতা মেট্রোর?]
ভারত ও অস্ট্রিয়ার সংস্কৃতিগত মিল তুলে ধরে বিদেশের মাটিতে 'নাগরিক স্বাধীনতা', 'সমতা', 'বহুত্ববাদ', 'আইনের শাসনে'র পক্ষে সওয়াল করতে শোনা গেল মোদিকে। পাশাপাশি তিনি বলেন, "উভয় দেশে এই মূল্যবোধগুলি এবং সাংস্কৃতিক বৈচিত্র উদযাপনের অন্যতম মাধ্যম হল নির্বাচন।" ভারতের মতো বৃহত্তম গণতন্ত্রে সদ্য সমাপ্ত শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের সাফল্যের কথাও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। উল্লেখ্য, ৩১ হাজার ভারতীয় অস্ট্রিয়া প্রবাসী। ৪৫০ জনের বেশি পড়ুয়া পড়াশোনা সূত্রে সেদেশে রয়েছেন, জানাচ্ছে ভারতীয় দূতাবাস।
[আরও পড়ুন: থানায় নেই সোহমের রেস্তরাঁ কাণ্ডের ফুটেজ! হাই কোর্টে শুনানিতে প্রকাশ্যে বিস্ফোরক তথ্য]
অস্ট্রেলিয়ার চ্যান্সেলর কার্ল নেহামার বলেন, “ভারত খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রভাবশালী দেশ। বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র। তাই অস্ট্রিয়ার কাছে ভারতের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শান্তি স্থাপনের ক্ষেত্রে ভারতের গুরুত্ব অপরিসীম।” অস্ট্রিয়া সফরের আগে রাশিয়ায় গিয়েছিলেন মোদি (Narendra Modi)। সেই বিষয়টি উত্থাপন করে নেহামার বলেন, “প্রধানমন্ত্রী মোদি শান্তি প্রতিষ্ঠা প্রসঙ্গে রাশিয়াকে কী বার্তা দিয়েছেন, সেটাও আমাদের পক্ষে জানা খুব গুরুত্বপূর্ণ। রাষ্ট্রসংঘের সনদ অনুযায়ী শান্তি বজায় রাখা হোক, এটাই দুই দেশের কাছে কাম্য।”