shono
Advertisement

চিনের কাছে জমি হারাচ্ছে ভারত, লাদাখের বহু পেট্রোলিং পয়েন্ট হাতছাড়া! রিপোর্ট পুলিশকর্তার

৬৫টির মধ্যে ২৬টি পেট্রোলিং পয়েন্টই হাতছাড়া ভারতের! বলছেন ওই পুলিশকর্তা।
Posted: 02:21 PM Jan 25, 2023Updated: 02:57 PM Jan 25, 2023

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিল্লিতে বসে সরকার যতই বাগ-আড়ম্বর করুক, চিন সীমান্তে ভারতের অবস্থা মোটেই স্বস্তিদায়ক নয়। সেটাই প্রকাশ্যে এল লাদাখের এক শীর্ষ পুলিশ আধিকারিকের রিপোর্টে। লে এবং লাদাখের পুলিশ সুপার পি ডি নিত্য (PD Nitya) লাদাখ সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে রীতিমতো বিস্ফোরক রিপোর্ট জমা করেছেন দিল্লিতে। তাঁর রিপোর্ট অনুযায়ী লাদাখ ফ্রন্টিয়ার এলাকায় এই মুহূর্তে ভারতের নিরাপত্তারক্ষীরা বেশ ব্যাকফুটে।

Advertisement

পিডি নিত্যা তাঁর রিপোর্টে জানিয়েছেন, লাদাখ (Ladakh) ফ্রন্টিয়ারে মোট ৬৫টি পেট্রোলিং পয়েন্টের মধ্যে ২৬টি পয়েন্টের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছে ভারত। ৫ নম্বর পেট্রোলিং পয়েন্ট থেকে ১৭ নম্বর পেট্রোলিং পয়েন্ট, ২৪ থেকে ৩২ এবং ৩৭ নম্বর পেট্রোলিং পয়েন্টে (Petroling Point) আর ভারতের নিরাপত্তারক্ষীদের নিয়ন্ত্রণ নেই। এই পেট্রোলিং পয়েন্টগুলিতে ভারতের নিরাপত্তারক্ষী বা সাধারণ নাগরিক কেউই দীর্ঘদিন যেতে পারেননি। এর ফলে লাদাখের ফ্রন্টিয়ারে যে ৩ হাজার ৫০০ কিলোমিটার সীমান্ত এলাকা আছে, তার একটা বড় অংশে এখন নিয়ন্ত্রণ নেই ভারতের।

[আরও পড়ুন: নেতাজি ‘আতঙ্কবাদী’! বিজেপি বিধায়কের পোস্টে তুমুল বিতর্ক]

লে ও লাদাখের পুলিশ আধিকারিকের রিপোর্ট অনুযায়ী, সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হল চিন এই এলাকাগুলিতে এখনও পেট্রোলিং করছে। এবং দাবি করছে এই পেট্রোলিং পয়েন্টগুলি তাঁদের দখলে। যার ফলে ভারতের দখলে থাকা এলাকাগুলি বাফার জোনে পরিণত হচ্ছে। এমনকী, ওই বাফার জোনগুলিতেও আমাদের যেতে দেওয়া হচ্ছে না। বস্তুত, চিন ধীরে ধীরে ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে ভারতের জমি গ্রাস করছে। ওই পুলিশ আধিকারিক নিজের রিপোর্টে এ বিষয়ে সেনার এক আধিকারিকের বক্তব্যও প্রকাশ করেছেন। যা আরও উদ্বেগজনক। ওই সেনা আধিকারিক নাকি তাঁকে বলেছেন, যদি ৪০০ মিটার জমি দিয়ে চিনা সেনাকে ৪ বছর শান্ত রাখা যায়, সেটা মোটেই লোকসানের চুক্তি নয়।

[আরও পড়ুন: প্রস্রাব কাণ্ডে এয়ার ইন্ডিয়াকে জরিমানা, মদ্যপ যাত্রীদের দুর্ব্যবহার রুখতে নয়া নিয়ম বিমান সংস্থায়]

লাদাখের ওই পুলিশ আধিকারিক নিজের রিপোর্ট পেশ করেছেন দিল্লিতে দেশের শীর্ষ পুলিশ আধিকারিকদের বার্ষিক সমাবেশে। তাতে আবার উপস্থিত ছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালও (Ajit Doval)। সেনা সূত্রে অবশ্য এই রিপোর্ট প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। সেনার তরফে জানানো হয়েছে, ভারত চিনের কাছে কোনও জমি হারায়নি। কিছু কিছু এলাকায় আলোচনার মাধ্যমে দুই শিবিরই পেট্রোলিং বন্ধ রেখেছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement