সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ডোনাল্ড ট্রাম্প আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হওয়ায় ভারত মোটেই চিন্তিত নয়। এমনটাই জানিয়ে দিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। তাঁর কথায়, অন্যান্য বেশ কিছু দেশ ট্রাম্পকে নিয়ে চিন্তিত। কিন্তু ভারত সেই তালিকায় নেই। বিদেশমন্ত্রী আরও বলেন, সাম্প্রতিক অতীতে পশ্চিম থেকে খানিকটা পূর্বে ঝুঁকেছে আন্তর্জাতিক ক্ষমতা। ভারত নিজেই সেই পরিবর্তনের প্রমাণ।
বিপুল ভোটে জিতে দ্বিতীয়বার আমেরিকার প্রেসিডেন্টের কুর্সিতে বসতে চলেছেন ট্রাম্প। তার পরে ফোন করে তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মোদি। উল্লেখ্য, দুই রাষ্ট্রপ্রধানের বন্ধুত্বের কথা কারোওরই অজানা নয়। তাই ট্রাম্প জেতায় নয়াদিল্লি যথেষ্ট খুশি বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের। সেই সুরই শোনা গেল বিদেশমন্ত্রীর গলায়। মুম্বইয়ের একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে জয়শংকর বলেন, "আমি জানি, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর আমেরিকার বর্তমান অবস্থা দেখে অনেক দেশই খুব উদ্বিগ্ন। তবে স্পষ্ট বলে দিতে পারি, আমরা মোটেই চিন্তিত নই।"
জয়শংকর আরও বলেন, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জেতার পরেই ট্রাম্প প্রথম যে তিনটে ফোন করেছিলেন, সম্ভবত সেই তালিকাতেই ছিল নরেন্দ্র মোদির নাম। কারণ আমেরিকার সমস্ত প্রেসিডেন্টের সঙ্গেই সুসম্পর্ক রেখেছেন মোদি। তাই ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হলেও ভারত মোটেই চিন্তিত নয়। উল্লেখ্য, প্রেসিডেনশিয়াল নির্বাচনে ট্রাম্প জিততেই তাঁকে 'প্রিয় বন্ধু' বলে উল্লেখ করে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন মোদি। সবকিছু ঠিক থাকলে ভারতে আয়োজিত কোয়াড বৈঠকেই দেখা হতে পারে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের।
প্রসঙ্গত, মার্কিন নির্বাচনের ফলাফলে নয়াদিল্লি খুশি হবে বলেই দাবি ছিল বিশ্লেষকদের। তাঁদের মতে, ট্রাম্পের কট্টর চিন-বিরোধী অবস্থান ভারতের পক্ষে সুবিধাজনক। ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট হলে যে বেজিংয়ের অস্বস্তি বাড়বে তাও নিশ্চিত। পাশাপাশি রিপাবলিকান নেতা ক্ষমতায় এলে যে অগ্রাধিকারের তালিকায় পাকিস্তানের থেকে ভারতই বেশি গুরুত্ব পাবে সেটা ধরেই নেওয়া যায়। ট্রাম্প-পুতিন সখ্যও ভারতকে স্বস্তি দেবে। রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যেও ওয়াশিংটন বিশেষ বাধ সাধবে না বলেই অনুমান বিশ্লেষকদের।