সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কালীপুজো ও দিওয়ালিতে করোনার টেস্টিং তুলনামূলক কম হওয়ায় একধাক্কায় অনেকখানি নেমেছিল দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। তবে টেস্টিং বাড়তেই ফের ঊর্ধ্বমুখী গ্রাফ। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের ছবিটা খুব একটা উদ্বেগজনক নয়। অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে সংক্রমণ। কিন্তু করোনা অতিমারী কাটিয়ে দেশ সুস্থ হওয়ায় প্রতিনিয়ত কমছে বুস্টার ডোজ নেওয়ার প্রবণতা। ফলে নষ্ট হওয়ার পথে প্রচুর পরিমাণ ভ্যাকসিন। আর তাই টিকা নষ্ট হওয়া আটকাতে এবার বিশেষ পদক্ষেপ করতে চলেছে বাংলা।
শনিবার স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের (Ministry of Health and Family Welfare) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা (Coronavirus) আক্রান্ত হয়েছেন ১৫৭৪ জন। গতকালের তুলনায় যা খানিকটা কম। দেশের মোট কোভিড সংক্রমিতের সংখ্যা ৪ কোটি ৪৬ লক্ষ ৫০ হাজার ৬৬২ জন। একইসঙ্গে গত ২৪ ঘণ্টায় কমেছে অ্যাকটিভ কেসও। দেশের সক্রিয় রোগী বর্তমানে ১৮ হাজার ৮০২ জন। গোটা দেশে অ্য়াকটিভ কেসের হার ০.০৪ শতাংশ। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বুলেটিন অনুযায়ী, ভারতে এখনও অবধি কোভিডে প্রাণ হারিয়েছেন মোট ৫ লক্ষ ২৯ হাজার ৮ জন। যার মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ন’জনের।
[আরও পড়ুন: বাংলার মুকুটে নয়া পালক, স্কচ পুরস্কার জয়ী লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, নিজেই জানালেন মুখ্যমন্ত্রী]
দেশের বেশিরভাগ রাজ্যে সংক্রমণে লাগাম টানা সম্ভব হলেও এখনও চিন্তায় রাখছে কেরলের করোনা গ্রাফ। সেই রাজ্যেই সর্বোচ্চ প্রায় সাড়ে তিন হাজার করোনার অ্যাকটিভ কেস। এরপরই রয়েছে অসম ও তামিলনাড়ু। কমেছে রাজধানী দিল্লি, কর্ণাটক, মহারাষ্ট্রের করোনা সংক্রমণ। এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলার আক্রান্ত ৩৩ জন। তবে মারণ ভাইরাসে কেউ প্রাণ হারাননি। স্বাস্থ্যদপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে, এ রাজ্যে শীঘ্রই ৯৫০০ করোনা টিকার মেয়াদ শেষ হচ্ছে। যার মধ্যে প্রায় ৬ হাজার কোভিশিল্ডের মেয়াদও আর কয়েকটা দিন। তাই বাড়ি বাড়ি গিয়ে টিকা ব্যবহারের প্রচারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্যদপ্তরের তরফে। ভ্যাকসিন যাতে নষ্ট হয়ে না যায়, তাই দ্রুত পদক্ষেপ করা হচ্ছে।
এদিকে মারণ ভাইরাসের সঙ্গে লড়াইয়ে করোনাজয়ীর সংখ্যাও বাড়ছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত দেশে ৪ কোটি ৪১ লক্ষ ২ হাজার ৮৫২ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। সুস্থতার হার ৯৮.৭৭ শতাংশ। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য জানাচ্ছে, দেশে করোনার টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে ২১৯ কোটি, ৬২ লক্ষের বেশি।